বন্দরে ১৫ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ নূর জাহান (৩৮) নামে এক নারী  মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী নূর জাহান বেগম বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার মাদক সম্রাট  বাবু মিয়ার স্ত্রী।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করেছে। ধৃতকে রোববার (৯ নভেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে গত শনিবার (৮ নভেম্বর)  দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধৃত মাদক কারবারি বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে  ইয়াবাসহ ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ধৃত নারী মাদক ব্যবসায়ী নূর জাহান বেগম ও তার স্বামী বাবু দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় অবাধে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।  

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমের হাইকোর্টে জামিন

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ রোববার এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মঞ্জুরুল আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে, যা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বাহার রুমি ও রেজা মো. সাদেকীন। মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন ও রমজান আলী শিকদার এবং আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার বাহার রুমি প্রথম আলোকে বলেন, চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামীকাল সোমবার শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন।

আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

গত ২৮ আগস্ট সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন শেখ হাফিজুর রহমান। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তাঁরা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।

আরও পড়ুনলতিফ সিদ্দিকী বললেন, আদালতের প্রতি আস্থা নেই, কী হলো এজলাসে২৯ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ