ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎‎রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে খানপুর ডন চেম্বারে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সবুর খান সেন্টু। 

‎‎আব্দুর সবুর সেন্টু বলেন, মাসুদুজ্জামানের পরিবার জাতীয়তাবাদী দলের পরিবার। তার দাদা, চাচারাও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলো। দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমরা তাকে প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে নিরুঙ্কুশ ভোটে বিজয়ী করি।

যারা এক শাসন কায়েম করেছিলেন, তাদের বিতারিত করে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই আমাদের সংগ্রাম। আপনারা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাসুদুজ্জামানের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হাজির হতে হবে।

‎‎তিনি আরো বলেন, কিছু মানুষ অপপ্রচার করছে এটা চূড়ান্ত লিষ্ট না। আরে এ প্রচার করে কি লাভ? আমাদের পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের নেতৃত্বে মাসুদুজ্জামান যোগদান করেন দলে।

মাসুদুজ্জামান মাসুদ একজন  ক্রীড়াবিদ লোক ও আর্ন্তজাতিক পোষাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাকে বিজয়ী করে বিএনপিকে মানুষের সেবা করার সুযোগ দিতে হবে।

‎‎সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর গনতন্ত্রকে বিশ্বাস করি, আমরা নারায়ণগঞ্জকে বসবাস যোগ্য ও নিরাপদ নগরী গড়ে তুলবো, আমরা সকলের জন্য অমুক্ত ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতি করার জন্য মাসুদুজ্জামান মাসুদ কে নিয়ে এগিয়ে যাবো।

আমরা নারায়ণগঞ্জকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু মুক্ত একটি সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দল জনমানুষের চিন্তা করেই নারায়ণগঞ্জে জন সমথর্ন যার রয়েছে তাকে নেতৃত্ব দিয়েছে আগামী ধানের শীষ আমরা তার পক্ষে কাজ করবো।

‎‎এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি এড রেজাউল করিম রেজা, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুলহাস, জেলা মহিলা দলের সম্পাদিকা জোহরা বেগম সহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মহানগর বিএনপির অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। 

 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন জানিয়েছে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এসময় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, “আজকের দিনটি শুধু বিএনপির নয়, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত মানুষের কাছেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের শেখায় জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আজকে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম, এই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বিভিন্ন রকমভাবে একটা প্রচেষ্টা, চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার জন্য।”

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের সেই পথেই যেতে অনুপ্রাণিত করে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব। জনগণের ভোটের অধিকারকে সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠা করতে পারব। বিচারের অধিকার নিশ্চিত করতে পারব। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাব। বিএনপি সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।”

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী থেকে উদ্ধার করে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব অর্পণের কাজটি বাংলাদেশের অগ্রগতির মোড় ঘোরানো দিক ছিল। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।”

তিনি আরো বলেন, “রাষ্ট্র পরিচালনার চার বছরে জিয়াউর রহমান দেশে আমূল পরিবর্তন আনেন। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন, তা দেশকে পরবর্তীকালে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।”

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান সম্পর্কিত বিষয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নতুন করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাঠানো বক্তব্যই বিএনপির চূড়ান্ত বক্তব্য বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সকাল থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলসহ বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে নেতারা সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ হাসিনার বিষয়ে রায়ের তারিখ ঘিরে অনিরাপদ বোধ করছে না প্রসিকিউশন
  • সুলতানের কৃষিদর্শন নিয়ে পাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে গবেষণা
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জে মৎস্যজীবী দলের আলোচনা সভা
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি
  •  জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির র‌্যালি
  • ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ২৫–২৬ ডিসেম্বর
  • গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল
  • ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর আজ
  • ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় দিন: ফখরুল