আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন আছে, বললেন আবদুর রব ইউসুফী
Published: 9th, November 2025 GMT
বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে আগামী নির্বাচন করতে চাইছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ। তবে তারা যত আসন চাইছেন, বিএনপি তা ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। সমঝোতা না হলে এককভাবেই নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও নির্বাচন উপকমিটির আহবায়ক মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, ‘জমিয়ত সভাপতি বলেছেন, “জোট হলেও আছি, না হলেও আছি।” তাই জমিয়ত এককভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা নির্বাচনী সমঝোতার জন্য যে তালিকা প্রস্তুত করেছি, লড়াই করে জিতে আসার জন্যই করেছি। যদি সেই কাঙ্ক্ষিত আসনগুলোতে কারও সঙ্গে সমঝোতা না হয়, তাহলে এককভাবেই লড়ব ইনশা আল্লাহ।’
বিএনপির একসময়ের জোটসঙ্গী কয়েকটি দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে গেলেও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম যায়নি। তারা বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছে। বিএনপির কাছে কিছু আসন চেয়ে একটি প্রার্থী তালিকা দিয়েছে জমিয়ত। সেই তালিকায় রয়েছেন দলের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট-৫), মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (নীলফামারী-১), কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ আলী (সিলেট-৪), জুনায়েদ আল হাবিব (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মনির হোসেন কাসেমী (নারায়ণগঞ্জ-৪), মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (কিশোরগঞ্জ-১), শোয়ায়েব আহমদ (সুনামগঞ্জ-২) ও তালহা ইসলাম (নড়াইল-২)।
জমিয়তের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১২টি আসন ছাড়া তাঁরা জোটে যাবেন না।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের জন্য বিএনপি এরই মধ্যে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জমিয়তের প্রত্যাশিত আসনগুলোর বেশ কয়েকটিতে প্রার্থী ঘোষণা করা না হলেও সেগুলো কোন কোন দলের জন্য রাখা হয়েছে, তা বলা হয়নি।
তার মধ্যে এককভাবে নির্বাচনের পথে এগোনোর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর মুঠোফোনে কল করা হয়।
নির্বাচনী আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুটা টানাপোড়েন তো আছেই। সে কারণে এমন বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আসন সমঝোতা না হলে জমিয়ত আলাদাভাবে নির্বাচন করবে।’
বিবৃতিতে আবদুর রব ইউসুফী বলেন, জমিয়ত বর্তমানে কারও সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জোটে নেই। তবে দেশ-জাতির কল্যাণে প্রদত্ত দলের কোনো বক্তব্য কারও বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যেতে পারে। কেউ কেউ এটাকে নানাভাবে ট্রল (হাস্যরস) করছে।
নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা নেই বলে একটা কথা শোনা যায়। রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু বা বন্ধুও নেই। তবে নীতি-আদর্শের ক্ষেত্রে কোনো আপস করা সম্ভব নয়। জমিয়ত সেই নীতিই লালন করে। তবে জমিয়ত চায়, দ্বীনের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত বা ক্ষতির সম্ভাবনা নেই এবং দেশ-জাতির ক্ষেত্রে আস্থা রাখা যায়, এমন শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসুক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এককভ ব র জন য ইসল ম সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা দেবে বিবিসিসি, বিজিএমইএর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই
কানাডায় তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা দেবে বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব কানাডার (বিবিসিসি)। পাশপাশি বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে বিবিসিসি সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান ও বিবিসিসির সভাপতি আলমগীর এম রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ। বিজিএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘বিবিসিসির সঙ্গে এই সমঝোতা স্মারক সই কানাডা ও উত্তর আমেরিকার বাজারে আমাদের শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, উন্নত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা।’
বিজিএমইএ জানায়, সমঝোতা চুক্তিটির আওতায় উভয় সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে তোলা; কানাডা ও বাংলাদেশে যৌথভাবে বাণিজ্য মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন; ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের সফর; উদ্যোক্তা ও পেশাদারদের সক্ষমতা বাড়াতে জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বিনিময়; তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট খাতে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সদস্যদের মধ্যে অংশীদারত্ব, যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতা বাড়ানোর কাজ হবে।