চাকরি দেওয়ার কথা বলে দালালরা বাংলাদেশি তরুণদের নিয়ে যায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে
Published: 22nd, April 2025 GMT
নেওয়ার কথা ছিল উত্তর মেসিডোনিয়ায়। কিন্তু দালাল তাঁকে পাঠান রাশিয়ায়। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করেন। কিন্তু দুই-তিন মাস পরেই চাকরি চলে যায় তাঁর। দেশে ফিরতে বিমানবন্দরে আসার পর পড়েন রুশ দালালের ‘খপ্পরে’। চুক্তিনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয় তাঁর। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন তিনি ‘বিক্রি’ হয়ে গেছেন, তাঁর আর ফেরার পথ নেই।
এ কথাগুলো জানালেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে রুশ বাহিনীতে যুক্ত হওয়া এক বাংলাদেশি। তিনি যে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, সেটি তাঁর পরিবারকেও জানাননি। এ কারণে নাম–ঠিকানা প্রকাশ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এই তরুণসহ (২০) তিন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। যাঁরা নানা প্রলোভনে ও দালালের খপ্পরে পড়ে রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের কাছে জানা গেল ভিনদেশের ওই যুদ্ধে তাঁদের জড়িয়ে পড়ার কাহিনি। তাঁদের সবার কাহিনিই প্রায় অভিন্ন। সবাই দালালের মাধ্যমে রাশিয়ায় গেছেন। সেখানে সবাই একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। কিছুদিন পর চাকরি চলে যায় তাঁদের। তারপর দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ার নাগরিকত্বসহ বেশি টাকা বেতনের প্রলোভনে রুশ সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক যোগ দেন।
দেশে ফিরতে বিমানবন্দরে আসার পর পড়েন রুশ দালালের ‘খপ্পরে’। চুক্তিনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয় তাঁর। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন তিনি ‘বিক্রি’ হয়ে গেছেন, তাঁর আর ফেরার পথ নেই।সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের তরুণ মোহাম্মদ আকরাম মিয়া (২২) রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রাণ হারান। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশি এক সহযোদ্ধা ফোন করে পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর কথা জানান। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে কথা হয় তিনজনের সঙ্গে। এ ছাড়া কথা হয় আকরাম মিয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। আকরামও ওই তিন তরুণের মতো রাশিয়ায় গিয়ে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তারপর চাকরিহারা হয়েছেন। এরপর তাঁর ঠিকানাও হয়েছে রাশিয়ার সেনাশিবিরে।
জানা গেছে, মোহাম্মদ আকরাম মিয়া ছাড়াও গত ২৭ মার্চ ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ইয়াসিন মিয়া শেখ (২২) রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে গিয়ে নিহত হন।
এরপর আমাদের জঙ্গলে নিয়ে গাছ কাটার কাজ করান। কিছুদিন পর দেখি বন্দুকসহ গোলাবারুদ আনা হচ্ছে। একপর্যায়ে ওই চারজন আমাদের রেখে চলে যান। বুঝতে পারি তাঁরা আমাদের বিক্রি করে দিয়েছেনপ্রতারণার শিকার এক তরুণ‘আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণের সঙ্গে গত শনিবার রাতে হোয়াটসঅ্যাপে দীর্ঘ কথা হয়। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তিনি রাশিয়ায় যান। এর জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ৮ লাখ টাকা। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজে যোগ দেন তিনি।
বেতন দেওয়ার কথা ছিল ৪০-৪৫ হাজার রুবল। দুই-তিন মাস পর প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের ১৫-২০ জনকে বের করে দেয়। দুজন নেপালি, দুজন ভারতীয় ছাড়া বাকিরা ছিলেন বাংলাদেশি।
এই তরুণ বলেন, গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে দেশে ফিরে আসতে তাঁরা চার-পাঁচজন বিমানবন্দরে যান। সেখানে রাশিয়ার এক দালাল কাজের কথা বলে হোটেলে নিয়ে যান তাঁদের। এরপর ভিসা নবায়নের কথা বলে তাঁদের পাসপোর্টসহ সব কাগজপত্র নিয়ে যান। সেখানে তিন-চারজন রুশ একটি চুক্তিনামায় তাঁদের স্বাক্ষর নেন।
এই তরুণ বলেন, ‘এরপর আমাদের জঙ্গলে নিয়ে গাছ কাটার কাজ করান। কিছুদিন পর দেখি বন্দুকসহ গোলাবারুদ আনা হচ্ছে। একপর্যায়ে ওই চারজন আমাদের রেখে চলে যান। বুঝতে পারি তাঁরা আমাদের বিক্রি করে দিয়েছেন।’
গত ২০ মার্চের পর ৫ দিন বন্দুক লোড ও গুলি করার প্রশিক্ষণ দিয়ে ষষ্ঠ দিনের মাথায় ইউক্রেনে নিয়ে যায়। যুদ্ধে নিয়ে যাবে, আমরা বুঝতেই পারিনি।প্রতারণার শিকার এক তরুণসামান্য প্রশিক্ষণ দিয়েই তাঁদের যুদ্ধে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘গত ২০ মার্চের পর ৫ দিন বন্দুক লোড ও গুলি করার প্রশিক্ষণ দিয়ে ষষ্ঠ দিনের মাথায় ইউক্রেনে নিয়ে যায়। যুদ্ধে নিয়ে যাবে, আমরা বুঝতেই পারিনি।’ এই তরুণ জানালেন, তাঁর সঙ্গে পুরান ঢাকার সোহাগ মিয়া, রাঙামাটির অমিত বড়ুয়া, গাজীপুরের অয়ন মণ্ডলসহ পাঁচজন ছিলেন। পরে তাঁদের বিভিন্ন সেনাশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই তরুণ বলেন, মার্চের শেষের দিকে তাঁদের অভিযানে পাঠানো হয়। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। তবে তিনি বেঁচে যান। ৭ বা ৮ এপ্রিলের দিকে ইউক্রেনের লুহানস্কে দ্বিতীয় দফায় পাঠানো হয়। অভিযানে তাঁরা ১০-১২ জন ছিলেন। ফিরে এসেছেন ছয়জন, বাকিরা নিখোঁজ। দুটি অভিযানেই তাঁর কাছে ভারী অস্ত্র ছিল।
বর্তমানে ইউক্রেনের দোনেৎস্কে একটি সেনাশিবিরে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে ৩০-৪০ জন সেনাসদস্য আছেন।
‘মাছে–ভাতে বাঙালি’ ওই তরুণের এখন দিন কাটছে শুকনা রুটি ও পাস্তা খেয়ে। ‘যতই দিন যাচ্ছে, ঝুঁকি বাড়ছে ও গোলাগুলির পরিমাণ বাড়ছে। অনিশ্চিত জায়গায় আছি, এক সেকেন্ডেরও ভরসা নাই।’ বললেন এই তরুণ।
‘যুদ্ধে পাঠানো হবে, জানতাম না’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণের গল্পের সঙ্গে মিল আছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের গোপালপুর গ্রামের আমিরাবাড়ির আফজাল হোসেন মেরাজের (২৬)। তিনিও আট-নয় মাস আগে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ নিয়ে রাশিয়ায় যান। ৭০ হাজার টাকা বেতনে একই প্রতিষ্ঠানে ছয় মাস কাজ করার পর চাকরি হারান। প্রায় দেড় মাস মস্কোতে বেকার থাকার সময় পরিচয় হয় রুশ এক দালালের সঙ্গে। তিনি রাশিয়ার নাগরিকত্ব ও মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা বেতনের কথা বলে রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করিয়ে দেন তাঁকে।
গত রোববার হোয়াটসঅ্যাপে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা হয়। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা এই তরুণ স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে রাশিয়ায় যান।
আফজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হবে, জানতাম না। এখন আটকে গেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বেতন পাইনি।’
রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে মুঠোফোনের ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথা হয় জানিয়ে আফজাল বলেন, বর্তমানে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর একটি শিবিরে আছেন। সেখানে ১০-১২ জন সেনাসদস্য আছেন। তবে তিনি জায়গার নাম জানেন না। গত শুক্রবার আরেকটি ক্যাম্পে খাবার ও গোলাবারুদ নেওয়ার সময় ড্রোন হামলা হয় তাঁদের ওপর। তবে তাঁরা বেঁচে যান।
প্রায় দেড় মাস মস্কোতে বেকার থাকার সময় পরিচয় হয় রুশ এক দালালের সঙ্গে। তিনি রাশিয়ার নাগরিকত্ব ও মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা বেতনের কথা বলে রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করিয়ে দেন তাঁকে।তাঁদের নামমাত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই তরুণ বলেন, ‘কিসের প্রশিক্ষণ! তিন-চার দিন কীভাবে বন্দুক চালানো, গুলি লোড করা এবং গুলি করতে হয় শেখানো হয়েছে। এরপরই পোশাক ও হাতে অস্ত্র দেওয়া হয়।’ তিনি জানান, এক মাস আগে প্রথমে নয়জনের একটি দলের সঙ্গে তাঁকে একটি অভিযানে পাঠানো হয়। সেখানে ইউক্রেনের হামলায় রুশ এক সেনাসদস্য মারা যান। এরপর কোনো অভিযানে পাঠানো হয়নি। পাঁচটি শিবিরে অবস্থানের পর এখন ৬ নম্বর শিবিরে আছেন। বর্তমানে খাবার, গোলাবারুদ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়ার কাজ করছেন তিনি। রাস্তায় প্রায় হামলা হয় বলে জানান তিনি।
রুবেল (২৯), ইমরান হোসেন (৩১), মো.
রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনে ৪০-৫০ জন বাংলাদেশি যুদ্ধ করেছেন বলে তাঁর ধারণা।
কিসের প্রশিক্ষণ! তিন-চার দিন কীভাবে বন্দুক চালানো, গুলি লোড করা এবং গুলি করতে হয় শেখানো হয়েছে। এরপরই পোশাক ও হাতে অস্ত্র দেওয়া হয়।প্রতারণার শিকার এক তরুণ‘খুব বিপদের মধ্যে আছি’যোগাযোগ করা হয় রুশ বাহিনীতে যোগ দেওয়া গাজীপুরের অয়ন মণ্ডলের সঙ্গে। কিন্তু ‘ভয়ে’ এই তরুণ ফোনে কথা বলেননি। সাতটি ভয়েস রেকর্ড পাঠান এই প্রতিবেদককে। এতে তিনি বলেন, ‘আমরা ফোনে কথা বলতে পারি না। ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়ে কথা বলতে হয়। লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন চালাচ্ছি। খুব বিপদের মধ্যে আছি।’
পাঁচ মাস আগে সাড়ে ছয় লাখ টাকা খরচ করে এক দালালের মাধ্যমে রাশিয়ায় যান অয়ন। তিনিও আগের দুজনের মতো যোগ দেন একই প্রতিষ্ঠানে। একপর্যায়ে তাঁকেও প্রতিষ্ঠানটি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে রাশিয়ার এক দালাল দুই লাখ রুবল বেতনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজের কথা বলে রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করেন।
আমরা ফোনে কথা বলতে পারি না। ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়ে কথা বলতে হয়। লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন চালাচ্ছি। খুব বিপদের মধ্যে আছি।গাজীপুরের অয়ন মণ্ডলএই তরুণ জানান, এক মাস ধরে তিনি আটকা পড়ে আছেন। তাঁকে এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণে যেতে না চাইলে নির্যাতন করে। তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন বাংলাদেশি আছেন। এ ছাড়া আশপাশের ক্যাম্পে আছেন আরও ১৫-২০ জন।
এই তিন তরুণ তাঁদের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দালালদের দায়ী করেন। তাঁদের ভাষ্য, দালালেরা জেনেশুনে লোকজনকে মৃত্যুর মুখে পাঠাচ্ছেন। তরুণ-যুবকদের প্রতি তাঁদের অনুরোধ, কেউ যেন রাশিয়ায় আসার প্রলোভনের ফাঁদে পা না দেন। এই তিন তরুণের আকুতি, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার যেন ব্যবস্থা নেয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক দ ল ল র ইউক র ন র একপর য য় আকর ম ম আম দ র বন দ ক র শ এক ন এই ত ক জ কর সদস য আফজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।