এআইয়ের চমক নিয়ে বাজারে এল নতুন ফোন
Published: 22nd, April 2025 GMT
এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার শুধু প্রয়োজন থেকে নয়, স্টাইল ও সৃজনশীল কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমই বটে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই মুঠোফোনের ব্যবহারে অন্য রকম অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। সেই বিষয়কে মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ ফোনটি বাজারে এনেছে।
ফোনটির বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে গত রোববার ঢাকায় একটি এক্সপেরিয়েন্স অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন সুবিধা সবার সামনে তুলে ধরা হয়। আয়োজনে নোট ৫০ সিরিজের চমক দেখাতে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ ইমারসিভ ওয়াকথ্রু জোন তৈরি করা হয়। নোট ৫০ সিরিজে ডিজাইন ও পারফরমেন্সকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নোট ৫০ সিরিজের নান্দনিক নকশা, উজ্জ্বল ডিসপ্লে এবং আধুনিক এআই সুবিধাকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। ফোনের এআই সুবিধা, স্লিম ডিজাইন, স্মুথ ডিসপ্লে, ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ও উন্নত ক্যামেরার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।
ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজের স্মার্টফোন নিয়ে ট্রানশনের সিনিয়র ব্র্যান্ড ও মার্কেটিং কমিউনিকেশনস ম্যানেজার ইফতেখান সানি বলেন, প্রযুক্তির সর্বশেষ চমক ও ডিজাইনকে গুরুত্ব দিয়ে গ্রাহকের সামনে নতুন মোবাইল বাজারে এনেছি আমরা। গ্রাহককে মুঠোফোনের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দিতে প্রযুক্তিগত ডিজাইনের বহুমাত্রিকতা দেখা যাবে এই ফোনে। ব্যবহারকারীদের সামনে শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও নজরকাড়া ডিজাইনের চমক দেখাবে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজের ফোনে।
নোট ৫০ প্রো স্মার্টফোনে রয়েছে আলট্রা-রেসিলিয়েন্ট আর্মরঅ্যালয় মেটাল ফ্রেম। ফোনটি যেকোনো পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য বেশ টেকসই। স্মার্টফোনটিতে ৯০ ওয়াট অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ৩.
স্মার্টফোনটিতে ওয়ান-ট্যাপ ইনফিনিক্স এআই সুবিধার মাধ্যমে দৈনন্দিন সব কাজ আরও সহজে করা যাচ্ছে। এআই সুবিধা ব্যবহারকারীর কাজের ধরন বুঝে বিভিন্ন অ্যাপ ও সেটিংস অপটিমাইজ করে বিভিন্ন কাজের সুযোগ রয়েছে। ফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল ওআইএস (অপটিক্যাল ইমেজ স্টাবিলাইজেশন) নাইট মাস্টার ক্যামেরা রয়েছে। এই ক্যামেরা কম আলোতেও স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম। স্মার্টফোনে ৬.৭৮ ইঞ্চির এফএইচডি+ অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাধ্যমে স্মুথ স্ক্রলিংয়ের অভিজ্ঞতা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ইনফিনিক্স নোট ৫০ প্রোর দাম ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা, নোট ৫০-এর দাম ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা। সিরিজের বিভিন্ন ফোন কেনা যাবে এই ওয়েবসাইট থেকে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ট ৫০ স র জ র এআই স ব ধ ব যবহ র ফ নট ত ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।
তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।
ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।
প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।
তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।
এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।
তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।
চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।
এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।
২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।
এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।
অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।