বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ৫৬.৩৮ শতাংশ
Published: 10th, July 2025 GMT
চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর যা ছিল ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১১৪ জন। গত বছর যা ছিল ৬ হাজার ১৪৫ জন।
বৃহষ্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর জি এম শহীদুল ইসলাম।
প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী আরো জানান, বরিশালে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে অংশ নিয়েছে ৮২ হাজার ৯৩১ জন। আর পাস করেছে ৪৬ হাজার ৭৫৮ জন। আর বহিষ্কার হয়েছে ২৮ জন।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে অপহরণের ৭ দিনেরও স্কুলছাত্রী উদ্ধার হয়নি
শতভাগ পাস ৯৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, ফেল ১৩৪
তিনি আরো জানান, বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এ বছর ১৫০২টি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে। এরমধ্যে ১৭টি স্কুলের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে। এছাড়া কেন্দ্র ছিল ১৯৪টি। তবে পাসের হারের সঙ্গে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা কমেছে।
ঢাকা/পলাশ/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারী বর্ষায় ভরসা ভাঙছে নিকড়ীপাড়ের বাসিন্দাদের
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় বসবাসকারী অর্ধশতাধিক পরিবারের মানুষ। ভারী বৃষ্টির কারণে নিকড়ী ছড়ার পাড়ে ভাঙন সৃষ্টির ফলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ছড়ার এই পাড় ওই এলাকার মানুষের একাংশের যাতায়াত এবং প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দূর করার একমাত্র ভরসা।
ছড়ার পাড় ভেঙে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বড়লেখা পৌর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক। এতে করে চলাচলে বিপত্তির মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
এমন অবস্থায় ছড়ার ভাঙন রোধ, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দ্রুত মেরামত এবং চলাচলের রাস্তা উপযোগী রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন স্থানীয়রা।
লিখিত আবেদন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ও বড়লেখা পৌরসভার পানিধার এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নিকড়ী ছড়া মিশেছে হাকালুকি হাওরে। এই ছড়ার একদিকের পাড় বহুদিন ধরে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পানিধার গ্রামের অর্ধশত পরিবার। নিকড়ী ছড়াটি একসময় অনেক প্রশস্ত ছিল। সময়ের সঙ্গে তা কমে এসেছে। এতে করে ভারী বৃষ্টির সময় উজান থেকে নেমে আসা ঢলের প্রবাহ হয় অনেক বেশি। সেই পানির ধাক্কায় পাড়ের ক্ষতি হয়। তাছাড়া ছড়ার ওপর দিকে পানি দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় পানির চাপে পাড় দুর্বল হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা ছড়ার বিভিন্ন স্থান দখল করে স্থাপনা নির্মাণ ও ভরাট করেছেন। এতে ছড়া সংকুচিত হয়ে গেছে। খননকাজ না করায় পানি ধারণক্ষমতা কমে গেছে অনেকাংশে। ফলে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির সব আয়োজন সম্পন্ন হয় স্থানীয়দের।
পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মানুষের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকছে। সবচেয়ে কষ্টে আছে স্থানীয় একটি এতিমখানার শিশুরা। নিচু হওয়ায় সেখানে পানি ঢুকছে বেহিসাবি।
পানিধার গ্রামের ওয়ালি উল্লাহর বাড়ি সুপরিচিত। সেটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছড়ার কিছু জায়গায় নজরে এসেছে বাঁশের বেড়া দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টার চিহ্ন। অবস্থা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, ঝুঁকিতে আছে এলাকার সেই অংশ।
স্থানীয় বাসিন্দা নানু আহমদ, মরুফ আহমদ ও তানভীর ইমতিয়াজ তুহিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছড়ার এক পাড়কে চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা। ছড়ার অনেকটাই দখল ও ভরাটে অস্তিত্বহীন। প্রস্থ তুলনামূলক কমে আসায় পানির ঢলে বিপত্তি বাড়ে। সাম্প্রতিক বন্যায় ছড়ার এক পাড়ে ভাঙন দেখা দেওয়ার পর থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্থানীয়রা। এই পাড় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলে গোটা এলাকা বিপদে পড়বে।
বড়লেখা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, নিকড়ী ছড়ার ভাঙনের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জেনেছেন। বিষয়টি পৌরসভার মাসিক সভায় উত্থাপন করে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।