গাইবান্ধায় ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
Published: 10th, July 2025 GMT
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের জায়গায় প্রস্তাবিত ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
খবর পেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ দুপুর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইপিজেড বাস্তবায়নের আশ্বাস এবং বিষয়টি সরকারকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সেতুর পাটাতন দেবে আটকে গেল ট্রাক, যান চলাচল বন্ধ
যমুনা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যানজট কমছে
কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এম এ মতিন মোল্লা, সংগঠক রফিকুল ইসলাম, মোকছেদ ইসলাম, ডেপুটি প্রধান আবু রায়হান, আব্দুর রাজ্জাক, আসলাম মিয়া, সাঁওতাল নেতা মেখায়েল বেসরা প্রমুখ।
বক্তারা চিনিকলের জমিতে ইপিজেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকলের জমিতে ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ইপিজেডের নাম দেওয়া হয় ‘রংপুর ইপিজেড’। বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) কর্তৃপক্ষকে ইপিজেড বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোট জমির মধ্যে ৪৫০ একর জমি বেপজাকে বুঝিয়ে দেয় চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ইপিজেড হলে দুই লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু, একটি মহল এর বিরোধিতা করছে। তারা চিনিকলের জমি অবৈধভাবে দখল করে আছেন।
ঢাকা/মাসুম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য নজট য নজট অবর ধ চ ন কল র জ
এছাড়াও পড়ুন:
আরও সাত দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র
আরও সাতটি দেশের জন্য ‘পাল্টা শুল্ক’ নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিপাইন, ব্রুনাই, মলদোভা, আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও শ্রীলঙ্কাকে নতুন শুল্কারোপের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর আগে সোমবার ১৪টি দেশকে চিঠি দেন তিনি। এক সপ্তাহের মধ্যে মোট ২১টি দেশের জন্য নতুন পাল্টা শুল্কহার নির্ধারণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিএনবিসি জানায়, বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, কমপক্ষে সাতটি দেশের তালিকা প্রকাশের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশের নাম জানানো হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সাতটি দেশের মধ্যেই সীমিত থাকলেন তিনি।
ফিলিপাইনের পণ্যে ২০ শতাংশ, ব্রুনাইয়ের পণ্যে ২৫ শতাংশ, মলদোভার পণ্যে ২৫ শতাংশ, আলজেরিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ, ইরাকের পণ্যে ৩০ শতাংশ, লিবিয়ার পণ্যে ৩০ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্রাজিলে উৎপাদিত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভা সামাজিক মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঘাটতির দাবিটি সঠিক নয়। যে কোনো একতরফা শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে ব্রাজিলের অর্থনৈতিক পারস্পরিক আইন অনুসারে মোকাবিলা করা হবে।’
এ পর্যন্ত যে ২১টি দেশের নতুন করে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাদের শুল্কহার ২০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও এসব চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এই নতুন শুল্কহার পর্যালোচনা করতে পারে। এটি নির্ভর করবে সেই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, নতুন এই শুল্কহার প্রয়োজনের তুলনায় কম। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে যে হারে শুল্কারোপ দরকার, তার চাইতে কম। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়ই দাবি করেন, বাণিজ্য ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
চিঠি পাওয়া সব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু না কিছু বাণিজ্য ঘাটতি আছে। যদিও অনেক ক্ষেত্রেই সেই ঘাটতির পরিমাণ খুবই সামান্য। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে মলদোভার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল মাত্র ৮৫ মিলিয়ন বা ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
ট্রাম্প যেসব নতুন শুল্কহার আরোপ করেছেন, তার বেশির ভাগই ২ এপ্রিল ঘোষিত স্বাধীনতা দিবসের শুল্কের কাছাকাছি। ট্রাম্প সেই শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন, যার মেয়াদ গত বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে গত সোমবার ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে শুল্ক কার্যকর করার সময়সীমা আগামী ১ আগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেন।
এর আগে গত সোমবার বাংলাদেশ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের পণ্যে নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করে চিঠি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের জন্য নতুন করে ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের কথা জানানো হয়।