বাংলাদেশে সংযোজিত মিতসুবিশির নতুন চার মডেলের গাড়ি বাজারে
Published: 3rd, May 2025 GMT
বাংলাদেশে সংযোজন করা মিতসুবিশির নতুন চার মডেলের এক্সপ্যান্ডার গাড়ি প্রদর্শন করেছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান র্যানকন। এক্সপ্যান্ডার ক্ল্যাসিক, এক্সপ্যান্ডার প্রিমিয়াম, এক্সপ্যান্ডার ইকো এবং এক্সপ্যান্ডার স্পোর্ট মডেলের গাড়িগুলোর মধ্যে তিনটি মডেল ঢাকা মোটর শোতে প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যানকন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক্সপ্যান্ডার ক্লাসিক ও এক্সপ্যান্ডার প্রিমিয়াম মডেলের গাড়িতে প্রিমিয়াম লেদার সিট, হুড এমব্লেম, রুফ রেইল, রেইন ভাইজর, ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরাসহ অ্যান্ড্রয়েড প্লেয়ার রয়েছে। এক্সপ্যান্ডার স্পোর্ট মডেলে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড বডি কিট, প্রিমিয়াম লেদার সিটসহ ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরা। এক্সপ্যান্ডার ইকো মডেলটি জ্বালানিসাশ্রয়ী হওয়ায় পরিবেশবান্ধব। মডেলগুলোর দাম ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা থেকে ৪০ লাখ টাকা। ক্রেতারা চাইলে গাড়িগুলো কেনার জন্য অগ্রিম ফরমাশও দিতে পারবেন।
র্যাংগস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ হামদুর রহমান বলেন, ‘মিতসুবিশি সব সময়ই একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। এই ব্র্যান্ডের বড় দিক হচ্ছে এর বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও নির্ভরতা। মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার এখন বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। র্যানকনের শোরুম থেকে আকর্ষণীয় মূল্যে গাড়িগুলোর অগ্রিম ফরমাশ দেওয়া যাবে।’
র্যানকনের অটো ডিভিশন ১-এর ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অটোমোবাইল–শিল্পে এক নতুন যুগের সূচনা করছি। মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডারের পাশাপাশি আরও নতুন মডেলের গাড়ি স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের গাড়ির বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন