বাংলাদেশে সংযোজন করা মিতসুবিশির নতুন চার মডেলের এক্সপ্যান্ডার গাড়ি প্রদর্শন করেছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান র‍্যানকন। এক্সপ্যান্ডার ক্ল্যাসিক, এক্সপ্যান্ডার প্রিমিয়াম, এক্সপ্যান্ডার ইকো এবং এক্সপ্যান্ডার স্পোর্ট মডেলের গাড়িগুলোর মধ্যে তিনটি মডেল ঢাকা মোটর শোতে প্রদর্শন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‍্যানকন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক্সপ্যান্ডার ক্লাসিক ও এক্সপ্যান্ডার প্রিমিয়াম মডেলের গাড়িতে প্রিমিয়াম লেদার সিট, হুড এমব্লেম, রুফ রেইল, রেইন ভাইজর, ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরাসহ অ্যান্ড্রয়েড প্লেয়ার রয়েছে। এক্সপ্যান্ডার স্পোর্ট মডেলে রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড বডি কিট, প্রিমিয়াম লেদার সিটসহ ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরা। এক্সপ্যান্ডার ইকো মডেলটি জ্বালানিসাশ্রয়ী হওয়ায় পরিবেশবান্ধব। মডেলগুলোর দাম ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ টাকা থেকে ৪০ লাখ টাকা। ক্রেতারা চাইলে গাড়িগুলো কেনার জন্য অগ্রিম ফরমাশও দিতে পারবেন।

র‍্যাংগস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ হামদুর রহমান বলেন, ‘মিতসুবিশি সব সময়ই একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত। এই ব্র্যান্ডের বড় দিক হচ্ছে এর বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও নির্ভরতা। মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডার এখন বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের গাড়ির বাজারে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। র‍্যানকনের শোরুম থেকে আকর্ষণীয় মূল্যে গাড়িগুলোর অগ্রিম ফরমাশ দেওয়া যাবে।’

র‍্যানকনের অটো ডিভিশন ১-এর ডিভিশনাল ডিরেক্টর শোয়েব আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের অটোমোবাইল–শিল্পে এক নতুন যুগের সূচনা করছি। মিতসুবিশি এক্সপ্যান্ডারের পাশাপাশি আরও নতুন মডেলের গাড়ি স্থানীয়ভাবে সংযোজন করা আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। আমরা বিশ্বাস করি, এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের গাড়ির বাজারে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা, বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুজনেরই

ঠাকুরগাঁওয়ে বাস ও থ্রি-হুইলারের সংঘর্ষে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী খোশবাজার এলাকায় ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জেলার ভুল্লী থানার খুলিশাকুড়ি পোস্ট অফিস পাড়ার মো. আশরাফুল ইসলাম (৫২) ও তার মেয়ে বোদা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রুবাইয়া খাতুন (১৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী ভিআইপি অটোমোবাইলসের একটি বাস তীব্র গতিতে আসছিল। বাসটি ভুল্লীর খোশবাজার মাদ্রাসার দক্ষিণে পোস্ট অফিসের কাছে পৌঁছালে সামনে থাকা একটি তিন চাকার ‘পাগলু’ গাড়িকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। পাগলু গাড়ি চালাচ্ছিলেন আশরাফুল। আর যাত্রী হিসেবে ছিল তার মেয়ে রুবাইয়া। এ সময় ঘটনাস্থলেই বাবা আশরাফুল নিহত হয় আর মেয়ে রুবাইয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।

আশরাফুল তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন বলে জানান নিহতের স্বজনরা।

এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। এটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা। বাসটিকে জব্দ করা গেলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। বোদা হাইওয়ে পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ