বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের ছেলে অভিনেতা বাবিল খানের একটি আবেগঘন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভিডিওতে বলিউডকে ‘ভুয়া’ বলে উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইরফানপুত্র বাবিল। পরে তার পরিবার ও টিমের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বাবিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে অনন্যা পাণ্ডে, শনায়া কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, রাঘব জুয়াল, আদর্শ গৌরব, অর্জুন কাপুর ও গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের নাম উল্লেখ করেন বাবিল।

এ ঘটনার পর আজ একটি বিবৃতিতে বাবিলের মানসিক অবস্থার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয় এবং তার ভক্তদের আশ্বস্ত করা হয় তিনি নিরাপদে আছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক বছরে বাবিল খান তার কাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোলামেলা কথাবার্তার জন্য অনেক ভালোবাসা ও প্রশংসা পেয়েছেন। প্রত্যেক মানুষের মতো তারও কিছু কঠিন দিন থাকতে পারে। এটি ছিল তেমনই একটি দিন। আমরা তার সকল শুভানুধ্যায়ীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, বাবিল সম্পূর্ণ নিরাপদে আছেন এবং খুব শিগগিরই ভালো বোধ করবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বাবিল সত্যিকার অর্থেই কিছু সহশিল্পীর প্রতি সম্মান প্রকাশ করেছেন, যাদের তিনি বিশ্বাস করেন। তারা বলিউডে আন্তরিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন।

অনন্যা পাণ্ডে, শনায়া কাপুর, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী, রাঘব জুয়াল, আদর্শ গৌরব, অর্জুন কাপুর এবং অরিজিৎ সিংয়ের প্রতি তার এই শ্রদ্ধা এসেছে তাঁদের কাজের প্রতি ভালোবাসা, সততা এবং আবেগপূর্ণ প্রয়াস থেকে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ধলেশ্বরীর পশ্চিম তীরেই বিদ্যালয়টি রাখার দাবি

ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরেই ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় রাখার দাবিতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কর্মসূচিতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা। 
অভিভাবক খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সেখানে দেওয়া বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, ২০১৫ সালে নদীর পূর্ব তীরে ৪৩ শতাংশ জমিতে স্থাপন করা হয় বিদ্যালয়টি। ভাঙনঝুঁকির কারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সেখানে কোনো ভবনের বরাদ্দ আসছে না। পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে নদীর পশ্চিম তীরের ৮৩ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও চলছে। কিন্তু নদীর পূর্ব তীরের কিছু অভিভাবক সেখানে বিদ্যালয়টি পুনরায় স্থাপনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।
সাটুরিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভাষ্য, নদীভাঙনের কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে একই মৌজায় নদীর পশ্চিম তীরে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সেটি আবারও পূর্ব তীরে স্থাপনের দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ওই এলাকার আব্দুল মজিদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী ৩ মে এক চিঠি দেন। এতে বলা হয়, বরাইদ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থরক্ষায় ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরে স্থানান্তরের আদেশ বাতিল করে পুনরায় তদন্তের পর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ