বন্দরে এক ব্যবসায়ীর দাঁত উপড়ে ফেলে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে।  ঘটনার ১২ দিন পর শনিবার (৩ মে) রাতে ভুক্তভোগী দীল মোহাম্মদ (৪৫) বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

গত ২১ এপ্রিল নবীগঞ্জ পরিক্তাক্ত ফার্মেসী সংলগ্ন জাতীয় পার্টির বন্ধ অফিসের সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।  মামলার আসামিরা হলেন, । সিমান্ত (২৮), মেহেদি (২৯),  হিমেল (২৬),আলিফ (৩০), তসিফ (২৭),  মিরান (২৭)।তারা সকলেই  নবীগঞ্জ (ইসলাম বাগ) এলাকার বাসিন্দা, সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড  নবীগঞ্জ কামাল উদ্দিনের মোড় এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে দীল মোহাম্মদ, পেশায় হুসিয়ারী ব্যবসায়ী। তিনি সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গত ২১ এপ্রিল  রাতে ব্যবসার  নগদ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে নবীগঞ্জ ঘাট পার হয়ে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন।

এসময় নবীগঞ্জ পরিক্তাক্ত ফার্মেসী সংলগ্ন জাতীয় পার্টির বন্ধ অফিসের সামনে পৌঁছালে  স্থানীয় একটি ছিনতাইকারী চক্র পথ গতিরোধ করে জোরপূর্বক  টাকা, মোবাইল নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে তাদের  বাধা প্রদান করায়  মুখের উপরের পার্টির সামনের  দুই টি দাঁত উপড়ে ফেলে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে। এসময়  প্যান্টের বাম পকেটে থাকা নগদ  দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা, প্যান্টের ডান পকেটে থাকা খুচরা এক  হাজার ছয়শত) টাকা ও একটি বাটন সিম্ফনি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

পরে ওই ব্যবসায়ীর  ডাকচিৎকারে আশপাশের  লোকজন ছুটে এসে  রক্তাক্ত  অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে  বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে  উন্নত চিকিৎসার জন্য নারায়নগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বার

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। 
‎রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নির্বাচনী প্রচারনাকে কেন্দ্র করে কোর্ট প্রাঙ্গনে মিছিল করেছে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত (সবুজ প্যানেল) এড. হাফিজ মোল্লাহ-মাঈন উদ্দিন পরিষদ।

‎এসময় সভাপতি প্রার্থী এড. হাফিজ মোল্লাহ বলেন, এই বিচার অঙ্গনের উপর নির্ভর করে মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা। নির্বাচনের উদ্দেশ্য হলো এই আইন অঙ্গনে সুষ্ঠু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আইনজীবী ও বিচারকদের সমন্বয়ে একটি বিচার বেরিয়ে আসে। যদি আমরা জয় লাভ করি তাহলে বিচারক ও আইনজীবীদের সমন্বয়ে কিভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা যায় সে ব্যাপারে সচেষ্ট হবো।

‎সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এড. মাঈন উদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচন কমিশন কতৃক নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশিত হলেও কিছু কিছু আচরণবিধি লংঘিত হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনকে বলবো আপনারা লক্ষ্য রাখবেন এবং আগামীকাল থেকে যেন নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘিত না হয়। যদি আচরণবিধির হেরফের হয় তাহলে যেখানে যা প্রয়োজন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। আমরা একটি সুশৃঙ্খল, ন্যায় আইনজীবী পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।

‎এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী এড. জাহাঙ্গীর দেওয়ান, সহ-সভাপতি এড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আল-আমীন, কোষাধ্যক্ষ এড. ইস্রাফিল, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. নিজাম উদ্দিন, লাইব্রেরী সম্পাদক এড. গোলাম সারোয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক এড. ইমরান হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. মজিবুর রহমান, সমাজসেবা সম্পাদক এড. নূর-ই-আলম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মাসুদুর রহমান, কার্যকরী সদস্য এড. গোলাম মোস্তফা, এড. আফরোজা জাহান, এড. রাকিবুল হাসান, এড. তাওফিকুল ইসলাম দিপু, এড. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইনজীবী সমিতির নির্বাচন : প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বার