রোডম্যাপ অনুযায়ী রাকসু নির্বাচনের দাবি
Published: 5th, May 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি, খসড়া ভোটার তালিকা এবং নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় রাকসু ভবনের সামনে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ এর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান সাব্বির।
আরো পড়ুন:
রাবি রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে তদন্তে ‘গড়িমসি’, সদস্যের পদত্যাগ
রাবিতে বিভাগের জুনিয়রদের টানা ৫ ঘণ্টা র্যাগিং, বিচার দাবি
তিনি বলেন, “রাকসু হলো শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র চর্চা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ার মাধ্যম। ৩৬ বছর ধরে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। চব্বিশের বিপ্লব পরেও এই অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের নয় দফার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান। এর লক্ষ্য ছিল ছাত্রসমাজকে গণতন্ত্র চর্চায় যুক্ত করে জাতীয় নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন, “রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নবিদ্ধ। ঘোষিত রোডম্যাপ বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল আচরণবিধি ও ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। এতে করে নির্বাচন নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিলম্ব ও অপকৌশলের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কিছুদিন আগে রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও নিরাপত্তা পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে। গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে, কেবল তাদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা—না হলে সেটা হবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন ও নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- আগামী তিনদিনের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং গত ২৮ এপ্রিলের পরে ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না; রাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি মেনে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও রাকসুর নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে আগামী সাতদিনের মধ্যে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে; ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহিরাগত বাইক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করতে হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান, নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করুন, তারপর সংবিধান পরিবর্তন করে পিআর পদ্ধতি চালু করুন।”
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
এনসিপি পাবে ১৫০ আসন, তবে বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি পাবে না
যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ
তিনি বলেন, “গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষ বুঝে ফেলেছে-নির্বাচন মানেই আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু সেই ভোটকে মৃত ব্যক্তির ভোট দিয়ে জালিয়াতি করেছে শেখ হাসিনা। এখন তিনি দিল্লিতে বসে দোসরদের দিয়ে বাংলাদেশে চক্রান্ত চালাচ্ছেন।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী দোসর কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা যাবে না। হাসিনার প্রেত্মাতারা এখনো সচিবালয়ে বসে আছে। তাই আমাদের দাবি-আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যারা ২০১৪ সালে ‘কুকুরের উপস্থিতিতে’, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে দিনের ভোট রাতেই করেছেন, সেই প্রেত্মাতারা যেন কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না হতে পারে।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “আপনাকে আমরা একজন সৎ ও দক্ষ ব্যক্তি হিসেবে জানি। অনুরোধ থাকবে-আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচন পরিচালনায় যেন কোনোভাবেই আওয়ামী প্রেত্মাতারা, যারা অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা দায়িত্ব পালন করতে না পারে। এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।”
গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওবাদুর রহমান টিপুর সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/রায়হান/এসবি