খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’র কাছে নেতা–কর্মীদের ভিড়, কড়া নিরাপত্তা
Published: 6th, May 2025 GMT
যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি তাঁর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন। পথে পথে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।
খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে ‘ফিরোজা’-সংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ‘ফিরোজা’ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টার পর থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, ‘ফিরোজা’র প্রবেশপথ গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের সামনে ব্যারিকেড দেওয়া রয়েছে। সড়কটির দুই পাশেই কড়া নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আছেন। গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছেন না।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় চেয়ারপারসনের দেশে ফিরে আসা ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যাচ্ছে। তাঁরা দলীয় চেয়ারপারসনকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই।
‘ফিরোজা’সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও গণতন্ত্র রুগ্ণ অবস্থায় রয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফিরে আসায় গণতন্ত্র আবার পুনরুজ্জীবিত হবে। সে জন্য আমরা উদ্বেলিত।’
এলাকাটিতে অবস্থান করা জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নীলুফার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া ম্যাডাম আমাদের মাঝে ফেরত আসছেন। তাঁর এই ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রোডম্যাপ অনুযায়ী রাকসু নির্বাচনের দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি, খসড়া ভোটার তালিকা এবং নির্ধারিত রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় রাকসু ভবনের সামনে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’ এর ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান সাব্বির।
আরো পড়ুন:
রাবি রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে তদন্তে ‘গড়িমসি’, সদস্যের পদত্যাগ
রাবিতে বিভাগের জুনিয়রদের টানা ৫ ঘণ্টা র্যাগিং, বিচার দাবি
তিনি বলেন, “রাকসু হলো শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র চর্চা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ার মাধ্যম। ৩৬ বছর ধরে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চলেছে। চব্বিশের বিপ্লব পরেও এই অধিকার বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই অভ্যুত্থানের নয় দফার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজন ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান। এর লক্ষ্য ছিল ছাত্রসমাজকে গণতন্ত্র চর্চায় যুক্ত করে জাতীয় নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন, “রাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নবিদ্ধ। ঘোষিত রোডম্যাপ বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল আচরণবিধি ও ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। এতে করে নির্বাচন নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিলম্ব ও অপকৌশলের সন্দেহ তৈরি হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কিছুদিন আগে রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও নিরাপত্তা পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে। গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে, কেবল তাদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তা—না হলে সেটা হবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন ও নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- আগামী তিনদিনের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং গত ২৮ এপ্রিলের পরে ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না; রাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি মেনে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা ও রাকসুর নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে; নির্বাচন কমিশনকে আগামী সাতদিনের মধ্যে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে; ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহিরাগত বাইক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং বহিরাগত প্রবেশ সীমিত করতে হবে।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী