ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) সেন্টার ফর রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (সিআরডিপি) প্রকাশ করল দুটি জার্নাল।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান।

আইএসইউ জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (জেইটি) এবং আইএসইউ জার্নাল অব বিজনেস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (জেবিডিএস) "শিরোনামে দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। জেইটি এর প্রথম সংখ্যা এবং জেবিডিএস এর তৃতীয় সংখ্যার প্রথম খণ্ড প্রকাশ করা হয়।

আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড.

আব্দুল আউয়াল খান বলেন, “গবেষণা ও প্রকাশনা ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসর হতে পারে না কারণ গবেষণা মানেই জ্ঞানের জন্ম। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা ও প্রকাশনাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি ভাষাগত দক্ষতায় পারদর্শী হতে হবে।একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানও নির্ভর করে মানসম্পন্ন জার্নালের ওপর। তাই গবেষণাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ভালো মানের গবেষণা শুধু দেশ, জাতি ও সমাজকে সমৃদ্ধ ও উন্নত করে না তার সাথে একজন শিক্ষকের জ্ঞান, পরিশ্রম ও যোগ্যতাকেও সমৃদ্ধ করে এবং তার ক্যারিয়ার ও অর্জনকেও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যায়। শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়াতে পড়তে হবে, লিখতে হবে বেশি করে, সমস্যা নির্ধারণ করতে হবে এবং গবেষণার মাধ্যমে তা তুলে ধরে নতুন কিছু করতে হবে ,যা সমাজ পরিবর্তন ও আধুনিকায়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

সিআরডিপির পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালটির র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে এই গবেষণা জার্নালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সবগুলো আর্টিকেলের ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেনটিফিকেশন (ডিওআই) পাওয়া গেছে এবং স্কোপাস ইনডেক্সের কাজ চলমান আছে।

উপস্থিত বক্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য এই জার্নাল সহায়ক হবে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের বাইরে যারা আছেন তারা অনলাইনের মাধ্যমে এ জার্নাল পড়তে পারবেন। সবার সার্বিক সহযোগিতায় আগামীতেও আইএসইউ এর জার্নাল প্রকাশের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সেন্টার ফর রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (সিআরডিপি) এর পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইএসইউ'র ট্রেজারার প্রফেসর এইচ. টি. এম. কাদের নেওয়াজ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মনজুর মোর্শেদ মাহমুদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, আইকিউএসি পরিচালক প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাসেদ মিয়া।

এছাড়া বিভিন্ন প্রোগ্রামের চেয়ারপার্সন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সুমন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ‘ইফ’ এবং ‘বাটস’ রেখেছে সরকার: সিপিবি সভাপতি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম বলেছেন, “তারেক জিয়ার সঙ্গে লন্ডন বৈঠকের পর বিএনপির সুর কিছুটা বদলেছে। তারা বলছে, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে চায়-এতে তাদের আপত্তি নেই। তবে, এই তারিখ নিয়েও সরকার ‘ইফ’ এবং ‘বাটস’ দিয়ে রেখেছে। খোলাসা করে এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। আমরা মনে করি, এই গিভ অ্যান্ড টেকের লন্ডন মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েও সঙ্কট দেখা দেবে।”

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে কিশোরগঞ্জে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের একরামপুরের একটি কনভেনশন সেন্টারে বামপন্থী এ রাজনৈতিক দলটির জেলা শাখার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটি তিন শতাধিক সদস্য অংশ নেন।

শাহ আলম বলেন, “দেশকে বিপদমুক্ত এবং মানুষকে ভীতিমুক্ত করতে হলে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। জাতি দ্রুত দেশে জাতীয় নির্বাচন চায়। এটা না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না, জানমালের নিরাপত্তা আসবে না এবং অর্থনীতিতে বিনিয়োগ হবে না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে। যা এখনই আমরা দেখতে পাচ্ছি।”

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এই উপদেষ্টা সরকারের একটাই দায়িত্ব; সেটা হলো নির্বাচন দেওয়া। নূন্যতম নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার সংস্কার শেষে অবিলম্বে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু তারা টার্নিমাল-বন্দর-করিডোরের মতো সংবেদনশীল এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের এজেন্ডা দেখে সন্দেহ বাড়ছে। নতুন নতুন এজেন্ডা নিয়ে আসছেন তারা। এগুলো চলতে থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব শেষ হয়ে যাবে। দেশটাও শেষ করে দেবে। আমাদের কাঙ্খিত নির্বাচনটাও হবে না। এসব নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।”

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অনেকে বলছে, এটি বিপ্লব, দ্বিতীয় স্বাধীনতা। যে যেভাবে পারছেন নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন, বিভিন্ন নামে ডাকছেন। আমরা মনে করি, এটি বিপ্লবও না বা দ্বিতীয় স্বাধীনতাও না। এটি স্বৈরাচারবিরোধী একটা লড়াই হয়েছে। যার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে যে স্বৈরাচারী সরকার ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছিল; ছাত্র-শ্রমিক-জনতা তার বিরুদ্ধে লড়াই করে নতুন সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তৈরি করেছে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন সম্ভব।”

বর্তমান ইউনূস সরকারের মূল্যায়ন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিপিবি সভাপতি বলেন, “তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মব সন্ত্রাস চলছে। শুধু চলছে না, এগুলো চালাতে দেওয়া হচ্ছে। সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখছে না। এসব কারণে দেশে বিনিয়োগ আসছে না। বারবার নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে। মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা কোনোভাবে কাম্য নয়।”

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা অপরাধে জড়িত, তাদের ন্যায়সঙ্গত বিচার হওয়া দরকার। তবে দল নিষিদ্ধের পক্ষে আমরা নই। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকেও নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। তাদেরকে তো সরকার নানাভাবে সুযোগ ও অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন করছে।”

এর আগে জেলা সিপিবির সধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা সিপিবির সভাপতি আবদুর রহমান রুমী। বক্তব্য দেন- জেলা কৃষক সমিতির
সভাপতি এনামুল হক ইদ্রিস, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ সরকার, সিপিবি নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এনামুল হক, আবুল হাশেম, মোস্তফা কামাল নান্দু, সেলিম উদ্দিন খান ও ফরিদ আহমেদ।

ঢাকা/রুমন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ