এসএসসি পরীক্ষার্থীদের (বিজ্ঞান বিভাগের) জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সারা বছর এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না, তারা মনে করে এটা আবার পড়ার বিষয় নাকি! এ কারণে এই বিষয়ে তারা নম্বর কম পায়। তাই এ বিষয়ে সিরিয়াস হতে হবে।

সিলেবাস বড়

এ বিষয়ে মোট ১৬টি অধ্যায় রয়েছে। মনে রাখতে হবে, বিষয়টিতে ভূগোল, পৌরনীতি, অর্থনীতি, ইতিহাস মিলিয়ে রাখা হয়েছে। তাই সিলেবাস বড়, অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে এখানে। এ জন্য অনেক সতর্ক থাকতে হবে বিজ্ঞানের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে। প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর পুরো প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়বে। প্রশ্নে কী চেয়েছে, তা বুঝে নিয়ে উত্তর লিখবে। কোনো প্রশ্ন আংশিক পরিবর্তন করে দেওয়া হলো কি না, তা খেয়াল রাখবে।

আরও পড়ুনচীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মিলবে বই কেনারও অর্থ, আইইএলটিসে ৭ হলে আবেদন৩ ঘণ্টা আগে

বহুনির্বাচনি অংশ

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে বহুনির্বাচনি অংশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারা বইয়ের অনেক অধ্যায় মনোযোগ দিয়ে পড়বে। এ বইয়ে অনেক তথ্য–উপাত্ত ও নামের ব্যবহার রয়েছে, যা বেশি দরকারি। এ অংশে বেশি নম্বর পাওয়া সম্ভব। তবেই তুমি পরীক্ষায় এ+ পেতে পারো।

সৃজনশীল অংশ

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে সৃজনশীল অংশে ভালো করা জরুরি। সৃজনশীল উত্তরের ধাপগুলো মেনে উত্তর লিখবে। স্বাধীন বাংলাদেশ; সৌরজগৎ ও ভূমণ্ডল; বাংলাদেশ ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু; রাষ্ট্র, নাগরিকতা ও আইন; বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন; জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ; এসডিজি; জাতীয় সম্পদ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা; বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা; বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন অধ্যায় থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন হতে পারে।

সময় ভাগ করে নাও

সৃজনশীল প্রশ্নের মান অর্থাৎ নম্বর অনুযায়ী কতটুকু লিখতে হবে, তা নির্ধারণ করেই লেখা শুরু করতে হবে। বেশি নম্বরের প্রশ্নগুলো যতটুকু সম্ভব ভালো করে দেওয়া উচিত, তবে তা হতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। সাতটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে অনেক সময় লাগবে, এটা মাথায় রেখেই তোমাকে সময় ভাগ করে নিতে হবে।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা০৩ মে ২০২৫

লেখা অযথা বড় করবে না

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বড় লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যায়, এটি একটি ভুল ধারণা। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখবে না। প্রাসঙ্গিক ও যথাযথ ছোট উত্তরেই বেশি নম্বর পাওয়া যায়। অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লিখে খাতা ভরলে সময় নষ্ট হবে, বেশি নম্বর পাওয়া যাবে না। এতে পরীক্ষকেরাও বিরক্ত হন।

লেখা শেষে রিভিশন

উত্তর লেখা শেষে তোমাকে রিভিশনের জন্য শেষ ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় হাতে রাখতে হবে। কোথাও কোনো ভুল আছে কি না কিংবা কোনো প্রশ্ন বাদ পড়ল কি না, মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে। ভুল ও অপ্রাসঙ্গিক কিছু থাকলে তা কেটে দেবে।

আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার দুই মাস বাকি, পরীক্ষার্থীদের করণীয় ১০ পরামর্শ০১ মে ২০২৫যা মনে রাখবে

১.

ভাষা আন্দোলন হলো বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির প্রথম আন্দোলন।

২. ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই স্লোগান নূর হোসেনের বুকে লেখা ছিল।

৩. পৃথিবীর বৃত্তের মোট পরিধি হলো ৩৬০ ডিগ্রি।

৪. জোয়ার-ভাটা প্রতি ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরপর হয়।

৫. ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

৬. কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তিস্থল লুসাই পাহাড়।

৭. বাংলাদেশে নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ হাজার ৮৩৩ কিলোমিটার।

৮. রাষ্ট্রের প্রাথমিক উপাদান হলো জনসমষ্টি।

৯. সরকারের বিভাগ রয়েছে ৩টি।

১০. বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।

১১. বাংলাদেশের প্রশাসনের স্তর রয়েছে দুটি।

১২. ইউনিয়ন পরিষদ হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন স্থানীয় প্রতিষ্ঠান।

১৩. গণতন্ত্রের একটি মৌলিক বিষয় হলো নির্বাচন।

১৪. বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের ১৩৬তম সদস্যপদ লাভ করে।

১৫. বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করবে।

১৬. উৎপাদনের উপকরণ তিনটি, যথা: ভূমি, শ্রম ও মূলধন।

১৭. প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নে বড় বাধা।

১৮. মূল্যবোধ সমাজবদ্ধ জীবনের বৈশিষ্ট্য।

১৯. সামাজিকীকরণ একটি জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া।

২০. প্রযুক্তি হলো বিজ্ঞানের প্রায়োগিক দিক।

লেখক: মিজানুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক, ধানমন্ডি সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার টিপস২৯ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

উসমানে দেম্বেলে: আলো-অন্ধকার পেরিয়ে সোনালি মুকুটে ব্যালন ডি’অর

ফুটবলের আকাশে কত তারাই জ্বলে ওঠে, আবার ম্লান হয়ে যায়। কিন্তু উসমানে দেম্বেলের কাহিনি আলাদা। এ যেন এক ভাঙা ডানার পাখির আকাশ ছোঁয়ার গল্প। চোট, সমালোচনা আর অনিশ্চয়তার অন্ধকার গলিপথ পেরিয়ে অবশেষে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় খোদাই করলেন তিনি। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) প্যারিসের আলোকোজ্জ্বল মঞ্চে ঘোষিত হলো- ২০২৫ সালের ব্যালন ডি’অরের অধিকারী ফ্রান্সের এই ফরোয়ার্ড। শুধু তার নয়, এটি পিএসজির ইতিহাসেও প্রথম ব্যক্তিগত গৌরবময় শিরোপা।

পরিসংখ্যানের সুরেলা সিম্ফনি:
পুরো মৌসুমে দেম্বেলের পারফরম্যান্স যেন এক সঙ্গীত রচনা। প্রতিটি নোটে নিখুঁত ছন্দ। ৩৫ গোল, ১৬ অ্যাসিস্ট আর একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। এ যেন সংখ্যার ভাষায় রচিত এক অদ্বিতীয় কবিতা। ‘মার্কা’ লিখেছে, “এ মৌসুম ছিল অপরাজেয়।” তাদের মন্তব্য, “লামিনে ইয়ামাল ভবিষ্যৎ, কিন্তু বর্তমানের মঞ্চে আলো ছড়াচ্ছে দেম্বেলে।” ‘এএস’ যুক্ত করেছে, “সবচেয়ে ধারাবাহিক, সবচেয়ে প্রভাবশালী আর সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন- ফলাফল ছিল অবধারিত।”

আরো পড়ুন:

মার্টিনেল্লির জাদুকরী গোলে শেষ মুহূর্তে সিটিকে রুখল আর্সেনাল

রোনালদো-ফেলিক্সের জোড়া গোলে আল-নাসরের দাপুটে জয়

অতীতের ক্ষত থেকে বর্তমানের গৌরব:
কাতালোনিয়ার ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ আবেগঘনভাবে লিখেছে, “চোটের দগদগে ক্ষত নিয়েও বার্সেলোনায় তিনি ফুটে উঠেছিলেন। আজ তিনি জনতার ব্যালন ডি’অর, ভেরনের সেই ছেলেটি যে একদিন পাহাড় জয় করার স্বপ্ন দেখেছিল, আর আজ সেটি সত্যি করেছে।”

খামখেয়ালিপনা থেকে পেশাদারিত্বের প্রতিমূর্তি:
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে দেম্বেলে আজ এক বদলে যাওয়া চরিত্র। ‘ডেইলি মেইল’ লিখেছে, “বার্সেলোনার সেই খামখেয়ালি তরুণ আজ হয়ে উঠেছেন অনুকরণীয় পেশাদার।” আর ‘দ্য সান’ শিরোনাম করেছে শক্তিশালী বাক্যে: “ফ্লপ থেকে রোল মডেল- সে দৌড়ায়, লড়াই করে, ডিফেন্ড করে, গোল করে। সে-ই পিএসজির হৃদস্পন্দন।”

অশ্রুর প্রতিশোধ:
ডর্টমুন্ডের দিনগুলো মনে করিয়ে ‘বিল্ড’ লিখেছে, “তখন সে ছিল অপরিশোধিত হীরা, আজ সে দীপ্তিময় রত্ন। থিয়েটার দ্য শাতলে-তে দেম্বেলের চোখের অশ্রু শুধু আনন্দ নয়, এটি সেই যন্ত্রণার প্রতিশোধ যা এত বছর তাকে তাড়া করেছে।”

সমষ্টির প্রতীক:
‘লা গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ট’ দেম্বেলের অর্জনকে দেখেছে নতুন এক দলোদ্দীপক সাফল্যের প্রতীক হিসেবে: “মেসি কিংবা এমবাপ্পে ছাড়াই পিএসজি ভেঙেছে প্রিভিলেজের যুগ। দেম্বেলে প্রমাণ করেছে- ধৈর্য, পরিশ্রম আর শৃঙ্খলাই সাফল্যের আসল ঠিকানা।”

আবেগের উচ্ছ্বাস:
দক্ষিণ আমেরিকার ‘ওলে লিখেছে, “ফরাসি প্রতিভা বিশ্বকে আন্দোলিত করেছে। দেম্বেলে শুধু নিজের জন্য জেতেননি, জিতেছেন তাদের জন্যও যারা একসময় তার ওপর বিশ্বাস হারিয়েছিল।” আর ব্রাজিলের ‘গ্লোবো’ আখ্যা দিয়েছে, “ভঙ্গুর এক তারকার পুনর্জন্ম, আজ সে বিশ্বের সেরা।” শেষ করেছে এক গাঢ় বাক্যে: “সে ইতিহাসকে নতুন করে লিখলো।”

দেম্বেলের গল্প কোনো সাধারণ ট্রফি জয়ের ইতিহাস নয়। এটি এক তরুণের অন্ধকার থেকে আলোয় ওঠার উপাখ্যান। ক্ষত-বিক্ষত শরীর, ভাঙা স্বপ্ন, সমালোচনার ভার- সব পেছনে ফেলে তিনি দাঁড়ালেন দৃঢ়ভাবে, নতুন এক উচ্চতায়। উসমানে দেম্বেলে- একজন প্রতিশ্রুতিশীল ছেলে থেকে আজকের বিশ্বের সেরা, ২০২৫ ব্যালন ডি’অরের অমর নায়ক। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ধর্মপাশায় জাল সনদ তৈরির অভিযোগে দুই তরুণের কারাদণ্ড, দোকান সিলগালা
  • ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ‘গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’ অনুষ্ঠিত
  • উসমানে দেম্বেলে: আলো-অন্ধকার পেরিয়ে সোনালি মুকুটে ব্যালন ডি’অর
  • বিদেশের মাটিতে হামলা দেশকে কলঙ্কিত করছে: সেলিমা
  • নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
  • পরমাণু শক্তি কমিশনে ৪১ জনের চাকরির সুযোগ, করুন আবেদন
  • এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬: তিন বিষয়ে প্রশ্নকাঠামো ও নম্বর বিভাজনে পরিবর্তন
  • সোনালী ব্যাংকের এককালীন শিক্ষাবৃত্তি, পাবে সমাজের পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা
  • পিআর পদ্ধতি আনতে চাইলে জনগণের কাছে যান: ফারুক
  • সাম্প্রদায়িকতা, গণতান্ত্রিক অধিকার সংকোচন ও জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা গুরুতর হুমকি