পুঁজিবাজার পরিস্থিতি নিয়ে সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 7th, May 2025 GMT
দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে সভা আহ্বান করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামী রবিবার (১১ মে) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন 'যমুনা'-তে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অবশেষে বিনিয়োগকারীদের দাবি আমলে নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
গত ৬ মে বৈঠকের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব ফারজানা জাহান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আগামী ১১ মে দুপুর ১২ টায় "পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ" বিষয়ক একটি সভা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন 'যমুনা'-তে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলা হলো।
তবে ১১দিনের সফরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের পৃথক দুইটি প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে তিনি বিদেশ সফরে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি এ বৈঠকে তিনি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তাল কেনিয়া, নিহত ৮
কেনিয়াজুড়ে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে এক দিনের বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসার পর, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন নিহত এবং ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে কেনিয়ায় মারাত্মক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ঢেউয়ের ঠিক এক বছর পর, গতকাল বুধবার (২৪ জুন) রাজধানী নাইরোবি ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই ‘রুটোকে যেতে হবে’ বলে স্লোগান দেন এবং তার শাসনের শান্তিপূর্ণ বিরোধিতার প্রতীক হিসেবে পাম গাছের পাতা নিয়ে মিছিল করেন।
সরকার বিক্ষোভের সরাসরি টিভি ও রেডিও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্তু রাজধানী নাইরোবির হাইকোর্ট সেই ডিক্রি বাতিল করে দেয়।
রুটো বিক্ষোভকারীদের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি না দেওয়ার আহ্বান জানান, কারণ জনতা তার সরকারি বাসভবনে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুলিশ তাদের পিছু হটিয়ে দেয়।
রুটো উপকূলীয় কাউন্টি কিলিফিতে একটি অনুষ্ঠানে বলেন, “কেনিয়ায় শান্তি নষ্ট করার জন্য বিক্ষোভ করা উচিত নয়। যখন কিছু ভুল হয় তখন আমাদের অন্য কোনো দেশে যাওয়ার দরকার নেই। আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব।”
রুটো বুধবার তার সরকারি বাসভবন স্টেট হাউসে ছিলেন না। কারণ বিক্ষোভকারীরা সেখানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।
বিক্ষোভকারীদের আটকাতেই খণ্ডযুদ্ধ বাধে পুলিশের সঙ্গে। তাদের আটকাতে জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। চালানো হয় গুলিও। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয় পার্লামেন্টের সঙ্গে মূল সড়কের সংযোগকারী রাস্তা। বন্ধ করে দেওয়া আশপাশের সব রাস্তা, ব্যাংক এবং দোকান।
বুধবারের বিক্ষোভে হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষ এখনও দেয়নি, তবে কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ল সোসাইটি অব কেনিয়া এবং পুলিশ রিফর্মস ওয়ার্কিং গ্রুপ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, কমপক্ষে আটজন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন।
আহত ৪০০ জনের মধ্যে ৮৩ জনের ‘বিশেষ চিকিৎসা’ প্রয়োজন এবং আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে তিনজন পুলিশ কর্মকর্তাও রয়েছেন।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি কেনিয়া নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৫ জুন কর বাড়ানোর বিতর্কিত আর্থিক বিল পাসের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কেনিয়ায়। রাজধানী নাইরোবি-সহ দেশের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর জানা গিয়েছিল। ঠিক এক বছর পর ফের উত্তপ্ত হলো কেনিয়া।
ঢাকা/ফিরোজ