নাইট ক্রিম ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার জন্য উপকারী। এ কারণে অনেকেই ঘুমানোর আগে নাইট ক্রিম ব্যবহার করেন। এটি ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাইট ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু এই নাইট ক্রিমগুলিতে অনেক ধরণের রাসায়নিক থাকে, যা ত্বকেরও ক্ষতি করে। এমন পরিস্থিতিতে, নিরাপদ বিকল্প হতে পারে অ্যালোভেরা জেল। এটি প্রাকৃতিক, যা ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। এছাড়াও, গ্রীষ্মকালে এটি ব্যবহার করা আরও বেশি উপকারী।  গ্রীষ্মে রাতে ঘুমানোর সময় অ্যালোভেরা লাগালে যেসব উপকারিতা মেলে-

হাইড্রেট ত্বক : ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বক হাইড্রেট থাকে। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে আর্দ্র রাখে, যার কারণে সকালে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

 নরম এবং মসৃণ ত্বক :অ্যালোভেরা জেল ত্বককে নরম এবং মসৃণ রাখতেও সাহায্য করে। রাতে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে ঘুমালে এটি ত্বককে সুস্থ হওয়ার জন্য সময় দেয়। এই জেল ত্বককে হাইড্রেটেড এবং সুস্থ রাখে। এটি ত্বকের গঠন উন্নত করে। পাশাপাশি ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে।

উজ্জ্বল ত্বক : গ্রীষ্মে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসার কারণে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। যার ফলে,ত্বকে কালো দাগ এবং ট্যানিং হতে শুরু করে। এই সমস্যাগুলি ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগালে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া যায়। এর হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য ত্বককে উজ্জ্বল করে।

ব্রণ কমাতে : গ্রীষ্মকালে, ত্বকে ঘাম এবং তেল বৃদ্ধির কারণে ব্রণ হতে শুরু করে। অ্যালোভেরা জেল এই সমস্যাগুলির জন্য রীতিমতো ওষুধ হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়, যা ব্রণের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

বলিরেখা কমাতে : অ্যালোভেরা জেল বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা কমাতেও সাহায্য করে। এটি ত্বককে হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড রাখে, যা বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখা প্রতিরোধ করে। এটি ত্বকের শুষ্কতা কমায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ইট ক র ম ল ত বক ত বক র ত বকক উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় মজুদকৃত ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ, জরিমানা 

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে সার মজুদ ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিক্রি না করার দায়ে দুই খুচরা বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। আজ রবিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চুকনগর বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়। 

ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অবৈধভাবে মজুদ করা বিভিন্ন ধরনের ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম রোডের বাদামতলা মোড় এলাকায় মেসার্স জালাল ট্রেডার্সে অবৈধভাবে সার মজুদ রাখার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদুল ইসলাম মোড়লকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তার দোকান থেকে ২৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৪৬ বস্তা টিএসপি, ২০ বস্তা ডিএপি ও ২৯ বস্তা এমওপি মজুদকৃত সার জব্দ করা হয়। 

আরো পড়ুন:

শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনের কারাদণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে টিকটক, যুবকের কারাদণ্ড

এছাড়া কৃষকের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করা ও স্টক রেজিস্ট্রার ব্যবহার না করায় মালতিলা এলাকায় মেসার্স সুকর্ণ ট্রেডার্সের মালিক সুকর্ণ কুমার ঘোষকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অপ্রতিম কুমার চক্রবর্তী জানান, সার মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় সার ব্যবস্থাপনা আইনে জাহিদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৭৫ বস্তা বিভিন্ন মজুদ করা সার জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি না করার অপরাধে ব্যবসায়ী সুকর্ণ কুমারকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার জরিমানা করা হয়। 

জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার। তিনি জানান, জব্দকৃত সার চুকনগর বাজার কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

অভিযানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনসাদ ইবনে আমিন, আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন, চুকনগর বাজার কমিটির সভাপতি শাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সরদার বিল্লাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ