বিবাহ বিচ্ছেদের ৮ দিন পর নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
Published: 7th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বাদুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাসেল মিঠু ও মো.
ভুক্তভোগী নারী জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি নিজের ঘর থেকে পাশের চাচার ঘরে যাওয়ার সময় ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের মিঠু, মিরাজ ও রানা তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই বাগানে আগে থেকে আরও তিন-চারজন অবস্থান করছিল।
স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর সঙ্গে আটদিন আগে তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকেই এলাকার মিঠু ও রাহাত ওই তরুণীকে উত্যক্ত করে আসছিল।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর বাবা ৫ জনের নামোল্লেখ এবং দুই অজ্ঞাতকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরইমধ্যে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, পরে বিক্রি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে সাতক্ষীরার এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হয় নোয়াখালীর এক কিশোরীর (১৭)। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। সেই সূত্রে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে ঢাকায় আনে কথিত প্রেমিক। যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে আটকে চালানো হয় সংঘবদ্ধ ধর্ষণ। পরে ওই কিশোরীকে বিক্রি করে দেওয়া হয় দেহব্যবসায়ী চক্রের কাছে। মাসখানেক পর উদ্ধার হয়েছে মেয়েটি।
করুণ পরিণতির শিকার ওই কিশোরী এখন নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সপ্তাহখানেক আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাকে ঢাকার জুরাইন এলাকা থেকে উদ্ধার করে। আজ রোববার দুপুরে মেয়েটির মা সুধারাম মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দম আইনে মামলা করেন। এতে দু’জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
মেয়েটি নোয়াখালী সদরের একটি ফাজিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণিতে পড়ে। তার স্বজনেরা জানায়, টেলিগ্রামে কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মজবুখালী গ্রামের এক তরুণের (২০)। এর সূত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৭ মে সকালে নোয়াখালীর মাইজদী থেকে মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে যায় কথিত প্রেমিক। এ সময় তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়েছিল সে। দু’জন যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে।
মেয়েটি জানায়, ঢাকা যাওয়ার পর পানি চেয়েছিল সে। তার কথিত প্রেমিক চেতনানাশক মেশানো পানি দিলে সে পান করে জ্ঞান হারায়। এ সময় সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। চেতনা ফিরে দেখতে পায়, তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। মোবাইল ফোন ফেরত চাইলে নির্যাতন শুরু হতো। তার কথিত প্রেমিক বন্ধুদের নিয়ে দিনে ৭-৮ বার ধর্ষণ করেছে। এভাবে ২১ দিন চলার পর তাকে বিক্রি করে পালিয়ে যায় ওই তরুণ।
যে চক্রের কাছে মেয়েটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়, সেখানে আরেক তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। তার মা জানান, একটি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার জুরাইন থেকে ১৫ জুন বিকেলে মেয়েকে উদ্ধার করেন। তিনি মেয়ের ওপর নির্যাতনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
সুধারাম থানার ওসি কামরুল ইসলামের ভাষ্য, ভুক্তভোগী কিশোরী মাদ্রাসায় পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরিও করে। সাতক্ষীরার ওই ছেলের সঙ্গে টেলিগ্রামে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মেয়েটিকে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসায়ী চক্রের কাছে বিক্রির অভিযোগ পেয়েছেন। এ বিষয়ে মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।