পটুয়াখালীতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বাদুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আজ বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাসেল মিঠু ও মো.

রাহাত নামে দুই যুবককে। 

ভুক্তভোগী নারী জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি নিজের ঘর থেকে পাশের চাচার ঘরে যাওয়ার সময় ছোট আউলিয়াপুর গ্রামের মিঠু, মিরাজ ও রানা তাকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই বাগানে আগে থেকে আরও তিন-চারজন অবস্থান করছিল।

স্থানীয়রা জানান, ওই নারীর সঙ্গে আটদিন আগে তার স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকেই এলাকার মিঠু ও রাহাত ওই তরুণীকে উত্যক্ত করে আসছিল।

সদর থানার ওসি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর বাবা ৫ জনের নামোল্লেখ এবং দুই অজ্ঞাতকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরইমধ্যে পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এমসি কলেজে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু

সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচারকাজ নতুন করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদের উপস্থিতিতে এসব মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে মামলা দুটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন ছিল। আজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এসব মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ মে দিন ধার্য করেন।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। প্রথম দিনের শুনানিতে অভিযুক্ত আট আসামি উপস্থিত ছিলেন। ১৩ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

মামলার বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবীর প্রধান শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলার ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পদে পদে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। এমনকি উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আপিল দায়ের করা হয়েছিল, যা ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‍্যাব। পরবর্তী সময়ে আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটুয়াখালীতে রাতে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
  • এমসি কলেজে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু