রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এক দিনে ১ হাজার ৯৩৮টি মামলা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়। একই অভিযানে ২৪৫টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয় এবং ৯৪টি গাড়ি রেকার করা হয়।

ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে তাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।

ট্রাফিক সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ

আজ বুধবার সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও জনসচেতনতা বাড়াতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চালিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগ। আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় পথচারী, চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ লিফলেট বিতরণ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার, ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা, হেলমেট পরিধান, রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকা, নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া যানবাহনে ওঠানামা না করা এবং রাস্তায় জটলা না করার বিষয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো লিফলেটে তুলে ধরা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড এমপ র ল ফল ট

এছাড়াও পড়ুন:

স্বজন ভেবে লাশ নিয়ে এলেন, গোসল করালেন, এরপর যা ঘটল

সিলেটের জকিগঞ্জে ভুল করে এক ব্যক্তিকে নিজেদের স্বজন মনে করে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার। তবে দাফনের আগে খবর আসে—যাকে মৃত মনে করা হচ্ছিল, তিনি জীবিত। পরে জানা যায়, ভুলে অন্য একজনের মরদেহকে নিজেদের স্বজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল। পুলিশি অনুমতি নিয়ে পরে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল রোববার জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। পরে তাঁর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণগ্রামের বাসিন্দা বাবুল আহমদ মরদেহ দেখে সেটিকে তাঁর ভাই সাবু আহমদ (৫৫) বলে শনাক্ত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি তাঁর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার রাতে বাবুল আহমদ ও তাঁদের মামাতো ভাই উজির উদ্দিন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন। গতকাল সকালে দাফনের প্রস্তুতির সময় গোসলের ঠিক পরপরই গঙ্গাজল এলাকা থেকে এক ব্যক্তি ফোন দিয়ে জানান, সাবু আহমদ জীবিত এবং তিনি গঙ্গাজল বাজারে অবস্থান করছেন। বিষয়টি জানার পর উজির উদ্দিন গঙ্গাজল বাজারে গিয়ে সত্যি তাঁর ভাই সাবুকে জীবিত দেখতে পান।

উজির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, শুধু তাঁদের পরিবার নয়, যাঁরা লাশটি দেখেছেন, সবাই বলেছিলেন, এটা সাবু আহমদ। কিন্তু মূলত তাঁদের ভাই বেঁচে ছিলেন। তিনি ভবঘুরে অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে করতে গঙ্গাজল এলাকায় গিয়েছিলেন। এরপর তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে নিহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে দিতে গেলে সেটি আর নিতে চাননি। এরপর দুপুরে স্থানীয় এতিছানগর কবরস্থানে তাঁরাই নিহত ব্যক্তির লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি বলেন, তাঁদের ভাই সাবু আহমদ গতকাল রাতেও বাড়িতে ছিলেন। আজ সোমবার সকালে আবার বাড়ি থেকে বের হয়েছেন।

সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শামীম আহমদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ওই ব্যক্তির লাশকে ভুল করে সাবু আহমদ ভেবে বাড়িতে আনা হয়েছিল। পরে দেখা যায়, সাবু আহমদ বেঁচে আছেন। বিষয়টি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থাও তাঁরাই করেছেন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মরদেহ ছিল, এমন তথ্য পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তবে পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহ নিতে গেলে জানানো হয়, পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, যাঁরা লাশটি শনাক্ত করেছিলেন, তাঁদের সেই স্বজন বেঁচে আছেন। এরপর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির মরদেহ তাঁরাই দাফনের ব্যবস্থা করেছেন। তবে এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ