হঠাৎ করে বিড়ালকে উড়তে দেখলে নিশ্চয়ই আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। হয়তো চোখ কচলে আবার দেখার চেষ্টা করবেন যে যা দেখেছেন, তা ঠিক দেখছেন কি না। অস্কার নামের বিড়ালটি অবশ্য উড়তে পারে না, বরং সেটি এক লাফে অনেকটা দূর যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডালাসের বাসিন্দা থিওডর শিয়েলস। অস্কার তাঁর পোষা বিড়াল। অস্কারের বয়স ৭ বছর। সম্প্রতি অস্কার এক লাফে ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি দূরত্ব অতিক্রম করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বইয়ে নাম লিখিয়েছে।

অল্প বয়স থেকেই অস্কারকে নানা রকম কৌশল শেখানো শুরু করেছিলেন শিয়েলস। শুরু হয় বসতে পারা, কোনো কিছু পাওয়ার জন্য হাত পাতার মতো করে অনুরোধ করা ও ছুড়ে দেওয়া খেলনা নিয়ে আসার মতো কৌশল দিয়ে। দুই বছর বয়স থেকে সেটি দীর্ঘ লাফ দেওয়া শেখার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে বলে জানান শিয়েলস।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে শিয়েলস বলেন, শুরুতে অস্কার মাত্র কয়েক ইঞ্চি লাফ দিতে পারত। দ্রুত তার লাফ কয়েক ফুটে গিয়ে পৌঁছায় এবং এরপর এটি হুপের ভেতর দিয়ে লাফাতে শুরু করে।

শিয়েলস বলেন, নিজের পোষা প্রাণীর এসব কাণ্ড দেখতে তাঁর খুবই ভালো লাগত, খুব আদুরে মনে হতো। কিন্তু তখনো তাঁর মাথায় বিশ্ব রেকর্ড গড়া নিয়ে সামান্যতম চিন্তাভাবনা ছিল না।

তবে রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা হিসেবে শিয়েলস তাঁর পোষা বিড়ালকে দুই বছর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। বিড়ালটিও অনেক পরিশ্রম করেছে। নিজেকে প্রস্তুত করার পথে অস্কার এক হাজারের বেশি লাফ দিয়েছে।

শিয়েলস বলেন, ‘যখন অস্কার প্রায় পাঁচ ফুট পর্যন্ত লাফাতে শুরু করল, তখনই আমরা প্রথমবার দেখতে শুরু করি যে এ বিষয়ে আসলেই কোনো বিশ্ব রেকর্ড আছে কি না। খুঁজে আমরা যেটা দেখতে পাই, সেটি ছিল ২ দশমিক ৩ মিটার। অর্থাৎ প্রায় ৭ ফুট ৫ ইঞ্চি। প্রথমেই আমাদের মনে হয়েছিল যে এই রেকর্ড ভাঙা অসম্ভব।’ কিন্তু অস্কার লাফিয়ে আকাশে ভাসতে ভালোবাসে। পোষা প্রাণীর এই খুশির দাম দিতে শিয়েলস রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ঠিক করলাম, আচ্ছা, চেষ্টা করে দেখাই যাক! ’

দুই বছরের বেশি সময় ধরে শিয়েলস ও অস্কার কঠোর অনুশীলন চালায়। একটু একটু করে অস্কারের লাফের দূরত্ব বাড়তে থাকে। অবশেষে তাদের স্বপ্নের সেই দিন আসে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অস্কার এক লাফে ৮ ফুট ৫ ইঞ্চি দূরত্ব অতিক্রম করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এক ল ফ র কর ড শ য় লস

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাইনি, প্রয়োজনও নেই: ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তা

ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরান জানিয়েছে, তারা এখনও যুদ্ধবিরতির কোনো প্রস্তাব পায়নি এবং তাদের কাছে এমন কোনো প্রস্তাবের প্রয়োজনও নেই। তেহরানের এক শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা সিএনএনকে এ কথা জানিয়েছেন। 

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আমাদের কাছে প্রতারণার অংশ। এর মাধ্যমে তারা ইরানে হামলার যুক্তি দাঁড় করাতে চায়। এই মুহূর্তে শত্রু পক্ষ ইরানের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। আর ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা আরও জোরদার করার চূড়ান্ত পর্যায়ে। আমরা শত্রুর মিথ্যা কথায় কান দিচ্ছি না। 

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এই যুদ্ধবিরতি চলমান সংঘাতের অবসানের পথে নিয়ে যাবে। তবে দুই পক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। খবর-আল জাজিরা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার জবাবে কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ অবস্থায় সংঘাত আরও চরমে পৌঁছার আশঙ্কার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নিরসনে একটি বড় অগ্রগতি বলে মনে করা হচ্ছে।  

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরও এই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েল ও ইরান একমত হয়েছে ১২ ঘন্টার জন্য একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি (আনুমানিক ৬ ঘন্টার মধ্যে) মেনে চলার জন্য। যুদ্ধবিরতির সময় এক পক্ষ অন্য পক্ষের প্রতি শান্তিপূর্ণ ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে। এ যুদ্ধ বছরের পর বছর ধরে চলতে পারত এবং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারত। কিন্তু তা হয়নি, এবং কখনও হবেও না! ঈশ্বর ইসরায়েলকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর ইরানকে আশীর্বাদ করুন, ঈশ্বর মধ্যপ্রাচ্যকে আশীর্বাদ করুন। ঈশ্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশীর্বাদ করুন এবং ঈশ্বর বিশ্বকে আশীর্বাদ করুন! 

সম্পর্কিত নিবন্ধ