বিএনপি নেতার বাড়িতে যাওয়া এসআই প্রত্যাহার
Published: 9th, May 2025 GMT
প্রায় এক যুগ আগে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা মো. সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় পরোয়ানা নিয়ে যাওয়া তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শককে (এসআই) মো. আকরাম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৮ মে) তেজগাঁও থানার একটি দল এসআই মো.
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ, সম্পাদক সিরাজুল
বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
যে পুলিশ সদস্যরা সাজেদুলের বাসায় যান, তাদের সবাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে নতুন যোগদান করেছেন। এ কারণে তারা জানতেন না, এটা এক যুগের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ সাজেদুলের বাসা।
ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট এসআইকে তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছে। পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার প্রত্যেক ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের প্রতি ডিএমপি সহমর্মিতা প্রকাশ করছে এবং তাদের নিরাপত্তায় ডিএমপি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ঢাকা/এমআর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
এসআইকে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর
বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি এসআই সুকান্ত দাশকে মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কিছু ব্যক্তি। মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি খানজাহান আলী থানা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর সুকান্তের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
কেএমপি থেকে জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দীর্ঘদিন সোনাডাঙ্গা থানায় কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালে তাঁকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমে তাঁকে ঢাকায় ও পরে চুয়াডাঙ্গায় বদলি করা হয়। একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে মঙ্গলবার তিনি খুলনায় আসেন। সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে তাঁকে মারধর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইস্টার্ন গেট এলাকায় বিএনপির একটি কর্মসূচি ছিল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাচ্ছিলেন সুকান্ত। অটোরিকশা ইস্টার্ন গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আরও যাত্রী ওঠানোর সময় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সুকান্তকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে। পরে দলের সিনিয়র নেতারা তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য শরিফুল ইসলাম টিপু বলেন, উত্তেজিত লোকজন এসআই সুকান্তকে মারধর করে। নিরাপত্তার কথা ভেবে তাঁকে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির কেউ মারধরে জড়িত নয়। তিনি বলেন, খুলনায় কর্মরত অবস্থায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর সীমাহীন নির্যাতন করেছেন সুকান্ত।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য এসআই সুকান্তকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁর শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি, শুধু গায়ের টি-শার্ট ছিঁড়ে গেছে।