গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে আহত কিশোরের মৃত্যু
Published: 10th, May 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ সামু মার্কেট এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত মো. জয় (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল
এর আগে গতকাল শুক্রবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের লোহাগাছ ফালু মার্কেট সংলগ্ন সামু সরকার মার্কেট এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। গাজীপুর সদর হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে মৃত্যু হয় জয়ের।
নিহত জয় সামু মার্কেট এলাকার মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, “খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের চলমান।”
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লোহাগাছ সরকার মার্কেট এলাকায় খেলা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে জয়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয় একই এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হকসহ আরও ৩-৪জন যুবকের। এর এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে ছুড়ি এনে জয়কে ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে যায় মোজাম্মেল হক। স্থানীয়রা জয়কে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে গাজীপুর সদর হাসপাতলে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২ টার দিকে মারা যায় জয়।”
এদিকে, জয়ের মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে মধ্যরাতে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তিনটি টিনশেড ঘর পুড়ে যায়।
মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, “আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে তিনটি কক্ষ পুড়ে গেছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।”
ঢাকা/রফিক/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র ক ট এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস নয়: নুরুল হক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আর কোনো আপস করা হবে না বলে বললেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, সরকারকে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় গণ অধিকার পরিষদ যমুনা ঘেরাও করবে।
যেসব রাজনৈতিক দল ও সংগঠন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগসহ সারা দেশে কর্মসূচি পালন করছে, তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক এ কথা বলেন।
এ সময় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ দাবি করে নুরুল হক অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনেরও দাবি জানান। ছাত্র প্রতিনিধিরা সরকারে থেকেও এত দিন কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেননি, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
নুরুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে আবার দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সংকট তৈরি হবে। বড় রাজনৈতিক দল সমঝোতার মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলেও বড় আঘাতটা আসবে বিপ্লবীদের ওপর।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু আগামী নির্বাচন নয়, কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। জাতীয় সংলাপ আহ্বান করে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে গণ অধিকার পরিষদের পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল তাঁর বাসভবন যমুনায় যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম ও আবদুজ জাহের এবং যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন। প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাব্বির আহমেদ তাঁদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বলে জানান আবু হানিফ।
স্মারকলিপিতে ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার, আহতদের পুনর্বাসন, শহীদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, শহীদ ও আহতদের প্রকৃত তালিকা প্রণয়নের অগ্রগতি জানানো এবং হত্যা মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশ ছাড়ার প্রসঙ্গ আনা হয় বলে গণ অধিকার পরিষদ জানায়।