বালুর স্তূপে শিশুর লাশ, পরিবারের দাবি ধর্ষণের পর হত্যা, ওসি অবরুদ্ধ
Published: 11th, May 2025 GMT
রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশুটির বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অভিযুক্তও একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পেলে আশপাশের লোকজন বালুর নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক গেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল কজন
এছাড়াও পড়ুন:
ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।
এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক