রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশুটির বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অভিযুক্তও একই গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পেলে আশপাশের লোকজন বালুর নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক গেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল কজন

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে ক্রীড়া উপদেষ্টার স্টেডিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিএনপি

নাটোর জেলা বিএনপি ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার সদর উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। পুলিশ প্রশাসনের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে তারা আজ শনিবার সকালে অনুষ্ঠানটি বর্জন করে। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপদেষ্টা শহরের কানাইখালি এলাকায় উপস্থিত হয়ে স্টেডিয়ামটি সরাসরি উদ্বোধন করেন এবং ভার্চুয়ালি দেশের অন্য ১৩টি মিনি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসন থেকে চিঠি দিয়ে বিএনপি নেতাদের সদর উপজেলা স্টেডিয়াম উদ্বোধনের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে মোতাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামানসহ কয়েকজন নেতা শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে কানাইখালি মিনি স্টেডিয়ামে যান। তাঁরা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক দিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাসিবুল্লাহ হাসিব বাধা দেন। পরিচয় দিয়ে আমন্ত্রণ স্মরণ করিয়ে দিলেও তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের চিনি, ভেতরে যাওয়া যাবে না।’ এ ঘটনার পর বিএনপি নেতারা অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন এবং বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আমন্ত্রিত অতিথি। আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু ডিবির ওসির খারাপ আচরণ সহ্য করার মতো নয়। আমরা চরম অপমানিত হয়েছি। এর প্রতিবাদে স্টেডিয়াম উদ্বোধন ও আলোচনা সভা বয়কট করেছি। এ ছাড়া আমরা স্টেডিয়ামের নাম শহীদ সুজনের নামে করার অনুরোধ করেছিলাম, যা প্রশাসন গ্রহণ করেনি। এর প্রতিবাদও জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন ও ডিবির ওসিকে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে ক্রীড়া উপদেষ্টার স্টেডিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে বিএনপি
  • ভাই বা বোন কি টক্সিক আচরণ করছে
  • সুন্দর আচরণ ও উত্তম ব্যবহার ইবাদত