সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করায় তিনজনের কারাদণ্ড, ৫০ নৌকা ধ্বংস
Published: 11th, May 2025 GMT
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথরকোয়ারি-সংলগ্ন বাংকার এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনের অভিযোগে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া পাথর উত্তোলনে ব্যবহৃত ৫০টি নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ ঘনফুট বালু।
গতকাল শনিবার বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত উপজেলার বাংকার ও তেলিখাল এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, তেলিখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট বালু ও একটি পেলুডার (বালু ওঠানো–নামানোর যন্ত্র) জব্দ করা হয়। এ ছাড়া বালু পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাকের কাগজপত্র না থাকায় মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাংকার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর উত্তোলন ও পরিবহনে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন আজিজুল, আলাউদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম।
ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এর আগে গত ২৬ এপ্রিল কোম্পানীগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পরিচালিত টাস্কফোর্স অভিযানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থার জন্য পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার আমগাছ থেকে নামানো হলো, খুলেছে কক্ষের তালাও
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার আমগাছ থেকে নামানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষের তালাও খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেনাসদস্যরা দুটি গাড়িতে করে বিদ্যালয়ে এসে কক্ষ খুলে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন।
ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ করাটা দুঃখজনক। এটা ছিল বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ বিষয়ে তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে সেখানে সেনাবাহিনী গিয়েছিল। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়নি। প্রধান শিক্ষক তাঁর কক্ষে বসবেন।
আরও পড়ুনপ্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা, চেয়ার ঝুলছে আমগাছে০৮ মে ২০২৫এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে টেনেহিঁচড়ে বের করে কক্ষে তালা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা। তাঁর অভিযোগ, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধরও করেছেন।
এ ঘটনায় তাঁর চেয়ার পাশেই একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সেই চেয়ার বিদ্যালয়ের পাশে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে কে বা কারা। প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে চেয়ারটি বেঁধে রাখা হয়। গতকাল প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দুটি দরজায় তালা দেখা যায়। তবে আজ শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, আমগাছের সেই চেয়ার আর নেই। চেয়ারটি দেখা গেল প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে। তবে এটি ভাঙা। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে লাগানো তালাও খুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বসার চেয়ার ঝোলনো হয় বিদ্যালয়ের পাশের আমগাছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে