আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
Published: 12th, May 2025 GMT
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বলেছেন, ‘এখন একটা বৈরী হাওয়া বইছে। একটা জিনিস বুঝতে হবে শেখ হাসিনার দল, মওলানা ভাসানীর তৈরি করা দল, বঙ্গবন্ধুর লালন পালন করা দল, যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে সেই আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না। সেটা সিদ্ধ হবে, না নিষিদ্ধ হবে সেই রায় দেওয়ার মালিক হচ্ছে জনগণ।’ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে স্থানীয়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় করেছে, ভুল করেছে, তাদের বিচার হবে। আইন দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কোনো পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ, সেটা ঠিক না।’
পাক-ভারত উত্তেজনায় বাংলাদেশে কেমন প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এখনকার দিনে যুদ্ধ কোনো ছেলেখেলা না। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে এমন ভয়াবহ হবে, সারা পৃথিবীতে তার প্রভাব পড়বে। ভারত মহাচালকের দেশ, এই পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ চালকের দেশ ভারত। তারা কেন ছেলেখেলা করবে। যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধ হলে সারা পৃথিবী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমার মনে হয় সেটা হবে না। এখন কোনো দেশের যুদ্ধ তার একার না। আমরা নিকটবর্তী প্রতিবেশী, আমাদের ওপর অবশ্যই এর ব্যপক প্রভাব পড়বে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা (বীর প্রতীক) আব্দুল্লাহ, কালিহাতী উপজেলা যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক এস.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না ঠিক করবে জনগণ: মঈন খান
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না– তা জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির দাবির বিষয়ে মঈন খান বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে, তারা তাদের বক্তব্য বলেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক তো বিএনপি নয়– এটি জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে, কারা করবে না। এটাই আমাদের (বিএনপি) বক্তব্য।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? সেটা তো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর ৯ মাস চলে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের মানুষের ওপরে জুলুম, লুটপাট ছাড়াও ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ দেশকে তছনছ করার ঘটনায় তারা ভুল স্বীকার করেনি, তারা ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের মানুষের কাছে। তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নটি আসলে আমাদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই। এর উত্তর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জানে।
বৈঠকে ড. আব্দুল মঈন খান ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার ছিলেন। কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।