অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এরপরও দলটি যদি কোনো কার্যক্রম চালায় কিংবা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তাহলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) রেজাউল করিম মল্লিক।

রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রেজাউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, ‘যদি বিন্দুমাত্র সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম চলতে দেওয়া হবে না।’

ঢাকা রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের সব এসপি ও ওসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের অধীনে থাকা ১৩ জেলার ৯৮টি থানাকে জনগণের আস্থা ও সেবাকেন্দ্রে পরিণত করতে চাই। যেকোনো অভিযোগ সরাসরি আমি শুনব।’ ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুলিশের অসদাচরণ হলেও ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কোনো গোপন তৎপরতা সম্পর্কে তথ্য পেলে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না ঠিক করবে জনগণ: মঈন খান

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না– তা জনগণ ঠিক করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। শুক্রবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে জাতীয় নাগরিক পার্টির দাবির বিষয়ে মঈন খান বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে, তারা তাদের বক্তব্য বলেছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক তো বিএনপি নয়– এটি জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয়। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কারা নির্বাচন করবে, কারা করবে না। এটাই আমাদের (বিএনপি) বক্তব্য।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কি আসলেই নির্বাচন করতে চায়, তারা কি আসলেই গণতন্ত্র চায়? সেটা তো আওয়ামী লীগকে বলতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর ৯ মাস চলে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের মানুষের ওপরে জুলুম, লুটপাট ছাড়াও ফ্যাসিস্ট কায়দায় এ দেশকে তছনছ করার ঘটনায় তারা ভুল স্বীকার করেনি, তারা ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের মানুষের কাছে। তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নটি আসলে আমাদের জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই। এর উত্তর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জানে।

বৈঠকে ড. আব্দুল মঈন খান ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার ছিলেন। কার্টার সেন্টারের ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জোনাথন স্টোনস্ট্রিট ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে দেশে সাজানো নাটকীয়তা চলছে: মির্জা আব্বাস
  • ঈদুল আজহা ও হজ যখন প্রতিবাদের ক্ষেত্র
  • আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না: কাদের সিদ্দিকী
  • নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্য সবাইকে নিয়ে উন্নতি: জোনায়েদ সাকি
  • রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ সব সমস্যার সমাধান নয়: গয়েশ্বর
  • যুদ্ধের দিকে যাত্রা থেমে যাক
  • সরকার হয়তো স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে: তারেক
  • ইসলামী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ‘নৈতিক অবক্ষয়ের চক্রান্ত সফল হবে না’  
  • আ.লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না ঠিক করবে জনগণ: মঈন খান