সাইফ আলী খান ও অমৃতার পুত্র ইব্রাহিম আলী খান। মেয়ের পর বাবা-মায়ের পথ ধরে বলিউডে নাম লেখিয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা। যদিও তার প্রথম সিনেমা নিয়ে তুমুল বিদ্রূপ, কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। এবার জীবনের অজানা অধ্যায় প্রকাশ্যে আনলেন সাইফ পুত্র। জানালেন, ছোটবেলা থেকেই কানে শোনার সমস্যা রয়েছে তার।

জিকিউ-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইব্রাহিম আলী খান। এ আলাপচারিতায় পড়াশোনা, ক্যারিয়ারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন ২৪ বছরের ইব্রাহিম। শ্রবণ শক্তি কম ও কথা বলার সমস্যা থাকার কারণে সেখানেও বাড়তি সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে।

এ বিষয়ে ইব্রাহিম আলী খান বলেন, “একজন ভারতীয় হিসেবে সেখানে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। তবে আমার জীবনের সেরা চার বছর সেখানে কাটিয়েছি। খেলাধুলা করতাম, নতুন বন্ধু পেয়েছি, অনেক কিছু শিখেছি। তখন আমার কথা বলার সমস্যা আরো বেশি প্রকট ছিল, তার মধ্যে নতুন জায়গা।”

আরো পড়ুন:

দ্বীপে কেন বাড়ি কিনলেন সাইফ?

পলকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে যা বললেন সাইফের পুত্র ইব্রাহিম

বিস্তারিত জানিয়ে ইব্রাহিম আলী খান বলেন, “জন্মের পরপরই আমার জন্ডিস হয়। বিষয়টি গুরুতর ছিল। আর এটা আমার ব্রেনকে ক্ষতি করে। আমি শ্রবণ শক্তি কিছুটা হারিয়ে ফেলি। শুধু তাই নয়, আমার কথা বলার উপরেও প্রভাব পড়ে।”

এই সমস্যা কাটিয়ে উঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ইব্রাহিম। তা জানিয়ে এই অভিনেতা বলেন, “ছোটবেলা থেকেই কথা বলা নিয়ে কাজ করছি। কীভাবে এর উন্নয়ন করা যায় সেটার চেষ্টা করছি। থেরাপিস্ট, কোচদের সাহায্য নিয়েছি। এখনো পুরোটা ঠিক হয়নি। কিন্তু এটা ঠিক করার জন্য চেষ্টা করছি।”

‘রকি আউর রানি কী প্রেম কাহানি’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন ইব্রাহিম আলী খান। গত ৭ মার্চ ‘নাদানিয়ান’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসেবে পা রাখেন। যদিও প্রশংসার পরিবর্তে কটুক্তি কুড়িয়েছেন এই তারকা পুত্র। করণ জোহরের ‘শারজামিন’ সিনেমায় দেখা যাবে ইব্রাহিমকে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেশটির নহাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।

তবে এভাবে একের পর এক পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের জোগান কমতে শুরু করেছে। এতে হতাশায় ভুগছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত দ্রব্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পার্ট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন। 

বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অনেক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ