Samakal:
2025-10-03@04:08:12 GMT

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

Published: 13th, May 2025 GMT

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

ফের বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। ব্যাংক-বীমাসহ অধিকাংশ শেয়ারের দর পতনে সূচকের এতটা পতন হয়েছে।
গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরু হলে প্রায় সব শেয়ারের দর পতন হয়। ওই দিন সূচকটি ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ হারায়। যদিও ভারত-পাকিস্তানে ওই সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো নেতিবাচক প্রভাবের কারণ ছিল না, যার কারণে শেয়ারবাজারে দর পতন হতে পারে। পরদিনই শেয়ারদর বাড়লে সূচকটি প্রায় ১০০ পয়েন্ট ফিরে পায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত শনিবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

মাঝে শেয়ারবাজারের চলমান সংকটাবস্থা নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। এর পর সোমবার শেয়ারদরে মিশ্রধারার মধ্যে ব্যাংক ও বীমা খাতের শেয়ারদরে ভর করে সূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। এর পর ফের পতন হলো।
গতকাল দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শুরুর চার মিনিটে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ভর করে সূচকটি ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৪৪ পয়েন্ট ছাড়ায়। পরে কিছু শেয়ারের দর কমায় আগের অবস্থান হারালেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘পজিটিভ’ ছিল। এর পর পতন শুরু হয়। শেষ পৌনে এক ঘণ্টায় বড় পতনে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৮২ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৬২ পয়েন্টের নিচে নামে। অবশ্য শেয়ারের সমাপনী মূল্যের হিসাবে থামে ৪৮৭৪ পয়েন্টে।

সার্বিক হিসাবে গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টির দর বেড়েছে, দর হারিয়েছে ২৭২টি এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৩২টি। এ ছাড়া ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র দুটির।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, ভ্রমণ ও অবকাশ, টেলিযোগাযোগ এবং বিবিধ খাতের গড় শেয়ারদর ১ শতাংশের কম কমেছে। অবশ্য এই পাঁচ খাতের মোট কোম্পানি রয়েছে ৪১টি, যা ৩৯টির শেয়ার গতকাল কেনাবেচা হয়েছে। বাকি ১৪ খাতের গড়ে ১ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত দর পতন হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রব জ র শ য় র র দর শ য় রদর দর পতন গতক ল র পতন

এছাড়াও পড়ুন:

কোটিপতি হলেও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন তিনি

পর্যাপ্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেই আমাদের অনেকে কায়িক পরিশ্রম ছেড়ে দেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটান। কিন্তু সবাই তা করেন না। এমন একজন জাপানের কোইচি মাতসুবারা। ৫৬ বছর বয়সী এই জাপানি নাগরিকের বার্ষিক আয় প্রায় ৩ কোটি ইয়েন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনো নিয়মিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন।

মাতসুবারা সপ্তাহে তিন দিন, প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে কাজ করেন। তিনি সরকারি পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। এ কাজের অংশ হিসেবে তাঁকে ছোটখাটো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

এ কাজ থেকে মাতসুবারা মাসে ১ লাখ ইয়েন (প্রায় ৮২ হাজার ৬৪ টাকা) আয় করেন, যা টোকিওর গড় বেতনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও তিনি এ কাজ করেন। কারণ, তিনি এটাকে শারীরিক সক্রিয়তা ও মানসিক প্রশান্তির উপায় হিসেবে দেখেন।

মাতসুবারা ছোটবেলা থেকেই সঞ্চয়ী ছিলেন। মাধ্যমিকের পর তিনি একটি কারখানায় মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন (প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বেতনে কাজ শুরু করেন। খরচ বাঁচিয়ে কয়েক বছরে প্রায় ৩০ লাখ ইয়েন (২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা) সঞ্চয় করে তিনি প্রথম স্টুডিও ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।

পরে বাড়ি কেনার ঋণ আগেভাগে পরিশোধ করে ধীরে ধীরে আরও ফ্ল্যাট কেনেন এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন মাতসুবারা। এখন টোকিও ও এর শহরতলিতে তাঁর সাতটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যার সবই ভাড়া দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন।

ধনবান হলেও মাতসুবারা সাদাসিধে জীবন যাপন করেন। এখনো তিনি সস্তা ফ্ল্যাটে থাকেন, নিজের খাবার নিজে বানান, নতুন জামাকাপড় কেনেন না, সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন এবং প্রধানত সাইকেলে চলাচল করেন। তাঁর জীবনদর্শন—‘প্রতিদিন কিছু না কিছু করার আশা করি, সুস্থ থাকতে চাই এবং নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে চাই।’

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাতসুবারাকে ‘অদৃশ্য কোটিপতি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর গল্প ছড়িয়ে পড়েছে। জাপানে ধনীদের এমন সাধারণ জীবনধারা অস্বাভাবিক নয়। দেশটিতে সাদাসিধে জীবনযাপন অনেকের মধ্যে দেখা যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ