Samakal:
2025-08-15@20:52:59 GMT

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

Published: 13th, May 2025 GMT

ফের বড় পতন শেয়ারবাজারে

ফের বড় পতন হয়েছে শেয়ারবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৪৭ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৭৪ পয়েন্টে নেমেছে। ব্যাংক-বীমাসহ অধিকাংশ শেয়ারের দর পতনে সূচকের এতটা পতন হয়েছে।
গত ৭ মে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরু হলে প্রায় সব শেয়ারের দর পতন হয়। ওই দিন সূচকটি ১৪৯ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ হারায়। যদিও ভারত-পাকিস্তানে ওই সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এমন কোনো নেতিবাচক প্রভাবের কারণ ছিল না, যার কারণে শেয়ারবাজারে দর পতন হতে পারে। পরদিনই শেয়ারদর বাড়লে সূচকটি প্রায় ১০০ পয়েন্ট ফিরে পায়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত শনিবার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

মাঝে শেয়ারবাজারের চলমান সংকটাবস্থা নিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। এর পর সোমবার শেয়ারদরে মিশ্রধারার মধ্যে ব্যাংক ও বীমা খাতের শেয়ারদরে ভর করে সূচক বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। এর পর ফের পতন হলো।
গতকাল দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শুরুর চার মিনিটে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ভর করে সূচকটি ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৪৪ পয়েন্ট ছাড়ায়। পরে কিছু শেয়ারের দর কমায় আগের অবস্থান হারালেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ‘পজিটিভ’ ছিল। এর পর পতন শুরু হয়। শেষ পৌনে এক ঘণ্টায় বড় পতনে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৮২ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৬২ পয়েন্টের নিচে নামে। অবশ্য শেয়ারের সমাপনী মূল্যের হিসাবে থামে ৪৮৭৪ পয়েন্টে।

সার্বিক হিসাবে গতকাল তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ৩৫৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২টির দর বেড়েছে, দর হারিয়েছে ২৭২টি এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৩২টি। এ ছাড়া ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২টি দর হারিয়েছে, বেড়েছে মাত্র দুটির।
খাতওয়ারি লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদিন সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, ভ্রমণ ও অবকাশ, টেলিযোগাযোগ এবং বিবিধ খাতের গড় শেয়ারদর ১ শতাংশের কম কমেছে। অবশ্য এই পাঁচ খাতের মোট কোম্পানি রয়েছে ৪১টি, যা ৩৯টির শেয়ার গতকাল কেনাবেচা হয়েছে। বাকি ১৪ খাতের গড়ে ১ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত দর পতন হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় রব জ র শ য় র র দর শ য় রদর দর পতন গতক ল র পতন

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে কেন গ্রেপ্তার করা হবে না

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০২৩ সালের মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সে সময় পুতিনকে একজন ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যায়িত করে বলেছিলেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য কোনো দেশ নয়।

২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, ওই সংবিধির আলোকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট কখনো ওই চুক্তিকে আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করার জন্য অনুসমর্থনের জন্য পদক্ষেপ নেয়নি।

বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সম্পৃক্ততার অবসান ঘটান। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

সে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কার্যকারিতা আমেরিকার মাটিতে নেই।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন প্রকাশ্যে আইসিসির প্রতি বৈরিতা করছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত এই আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছেন, এমন অভিযোগের তদন্ত করায় আইসিসির ওই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।

আইসিসির এখতিয়ারের এই ঘাটতিই পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কাকে বেছে নেওয়ার একটি কারণ হতে পারে।

অবশ্য আইসিসির স্বাক্ষরকারী দেশ মঙ্গোলিয়ায় ২০২৩ সালের আগস্টে সফর করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের অনুরোধ করা হলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দেশটি। সে জন্য মঙ্গোলিয়াকে কোনো পরিণতি ভোগ করতে হয়নি।

শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন কেবল ততটাই কার্যকর হয়, যতটা দেশগুলোর সরকার এবং তাদের নেতারা কার্যকর করতে চান। আর এই ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে চান এবং এই সাক্ষাৎ তাঁর পছন্দ মতো করতে তাঁকে আটকানোর মতো কিছুই নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ