হাজীগঞ্জ সমাজকল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক অচলাবস্থা নিরসনে হাজিগঞ্জ এম সার্কেসে অবস্থিত সংগঠনের কার্যালয়ে সদস্যদের সাথে সমাজসেবা কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১৩ মে বিকেল চার ঘটিকায় সমাজসেবা উপ-পরিচালক সরদার আসাদুজ্জামান শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জেলা রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা হামিদুল্লাহ্ মিয়া হাজিগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদ কার্যালয়ে সংগঠনের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

উপস্থিত সদস্যরা দীর্ঘ সময় সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার আহ্বান জানান। সাবেক কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান দীর্ঘ সময় সংগঠনের কমিটি না থাকার কারণে সামাজিক কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তিনি দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দেন।

দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান আরিফ বলেন আমি দপ্তর সম্পাদক হলেও সংগঠনের দপ্তরের কোন ধরনের দায়িত্ব কখনো বুঝে পাইনি। কার্যকরী সদস্য মোঃ হালিম বেপারী এলাকার যুব সমাজকে কল্যাণমুখী কর্মকান্ডে জড়িত করার প্রয়োজনে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন বিগত দিনগুলোতে পদ-পদবি কুক্ষিগত করার মাধ্যমে সংগঠনটিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে ফলশ্রুতিতে এলাকায় মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। তিনি অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহবান জানান।

অবশেষে দীর্ঘ সময় মত-বিনিময়ের পর সমাজসেবা উপ-পরিচালক সরদার আসাদুজ্জামান বলেন সংগঠনের কার্যক্রম গতিশীল করার প্রয়োজনে খুব দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করা হবে এবং বিগত কমিটির দপ্তর সম্পাদককে শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্তৃক দিকনির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে নির্বাচনের পথ সুগম করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। 

এমনি ঘোষণার পর হাজিগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সকল সদস্যদের মাঝে নতুনভাবে উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। সদস্যদের মাঝ থেকে এমনি উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সমাজসেবা উপ-পরিচালক সরদার আসাদুজ্জামান শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এবং রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তা হামিদুল্লাহ্ মিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কর মকর ত স গঠন র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

রুনা লায়লার জন্মদিন: সংগীতজীবনের বর্ণময় ৬ দশকের উদ্‌যাপন

উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ৭৩ বছর পূর্ণ করলেন। একইসঙ্গে পূর্ণ করলেন তার গৌরবময় সংগীত-জীবনের ৬০ বছর। উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সমানতালে গান গেয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন রুনা লায়লা। ১৮টি ভাষায় তার গাওয়া গানের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। ফলে তিনি যে উপমহাদেশের শীর্ষ সংগীতশিল্পীদের একজন—এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বাংলাদেশের বাংলা গানকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে তার অবদান অনন্য। দেশ-বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অগণিত স্বীকৃতির মাঝে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ তার অর্জনকে আরো মহিমান্বিত করেছে।

আরো পড়ুন:

কনসার্টে গায়ক একনের পরনের প্যান্ট নিয়ে টানাটানি

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ভক্তদের কাছে রুনা লায়লার এবারের জন্মদিনটি বিশেষ। কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের শেষ গানটি প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া জনপ্রিয় সুফি কাওয়ালি ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ দিয়ে—যে গানটি বহু বছর আগে তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছিল।

তবে জন্মদিন নিয়ে শিল্পীর বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি জানান, পরিবারকে সময় দিয়েই কাটাবেন দিনটি। ঘরোয়া পরিবেশেই উদ্‌যাপিত হবে জন্মদিন।

১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন রুনা লায়লা। সংগীতজীবনের শুরু ষাটের দশকের শেষ দিকে পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পে। শিল্পী আহমেদ রুশদির গায়কিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করা এই কণ্ঠশিল্পী দ্রুতই উর্দুভাষী শ্রোতাদের মন জয় করে নেন। ‘উনকি নজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গাম মিলা’—এর মতো গান তাকে এনে দেয় ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এরপর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ে তার কণ্ঠের জাদু। ‘ও মেরা বাবু ছৈল ছাবিলা’ তাকে পরিচিত করে তোলে সাদাকালো যুগেই। পরে সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে ‘ডিস্কো দিওয়ানে’ (১৯৮২) অ্যালবাম তাকে বিশ্বব্যাপী নতুন আরেক পরিচিতির শিখরে পৌঁছে দেয়। 

যদিও তিন দেশে সাফল্য পেয়েছেন, রুনা লায়লার সংগীতজীবনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশ। ‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘জাদুর বাঁশি’ (১৯৭৭), ‘অ্যাক্সিডেন্ট’ (১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪)—সহ মোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ গায়িকা নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সাধের লাউ বানাইলা মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়িতে গেলাম’—এর মতো বাংলা লোকগান তার কণ্ঠে নতুন প্রাণ পেয়েছে। 

দীর্ঘ ও সফল এই যাত্রায় মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি—এ কথা প্রায়ই উল্লেখ করেন রুনা লায়লা। তিনি বলেন, “মা আমাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করেছেন। ছোটবেলায় গান গাইতে গেলে মা সবসময় সঙ্গে যেতেন।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ