আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
Published: 14th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের দেওভোগে আওয়ামী লীগ নেতা তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে বোনের ২ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে এসব সম্পত্তি আত্মসাত করেন তারা। শুধু তাই নয় বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবে মামলা দিয়ে হয়রানিও করেছেন ওই নেতারা।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মামাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ পাক্কারোড এলাকা বাসিন্দা শাহ আল মোমেন।
সংবাদ সম্মেলনে শাহ আল মোমেন অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে তার মা মোমেনা বেগমের মৃত্যুর পর থেকেই মামাদের মধ্যে শুরু হয় সম্পত্তি নিয়ে টানাটানি। মেঝো মামা খাজা রহমতউল্লাহ ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতা, বড় মামা খাজা আহসানুল্লাহ ও খাজা অলিউল্লাহ মাসুদ সাবেক বিদ্যুত মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ঘনিষ্ঠজন। মেজ মামা খাজা রহমতুল্লাহর স্ত্রী নাদিয়া বেগম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এস এ মালেকের কন্যা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মামারা তিন ভাই মা সহ খালারা চার বোন, মামা নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সেই প্রভাব খাটিয় মা ও খালাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি জাল সনদ করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় ।
আমার মায়ের নামে থাকা নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর, নয়ামাটি এবং দেওভোগে প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা হয় আমাদেও দুই ভাই একবোনকে । অভিযুক্তরা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালি নেতা হওয়ায় বিগত ৫ ই আগস্ট এর আগে আমারা ন্যায়বিচার পাইনি। ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট এর পর সঠিক বিচার পাবো।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিভা হাসানকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওয়ারিশের জাল সনদ তৈরি করেছেন এবং ওই সনদের মাধ্যমে জমি অন্যতম বিক্রি করে দিয়েছেন এই মামারা।
জাল সনদের বিষয়ে আদালতে মামলা করলে আদালত সিআইডিকে তদন্ত দেয় তদন্ত সিআইডি প্রমাণ পায যে, জাল ওয়ারিশ সনদদের মাধ্যমে আমার মায়ের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা হয়েছে। আত্মসাৎ এর প্রমাণের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা মামার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
জাল সনদ কান্ড পারিবারিকভাবে বা সামাজিকভাবে সমঝোতা করে দেবেন এমন আশ্বাসে জামিন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মামা মুঠোফোনে খাজা অলিউল্লাহ মাসুদ আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। সম্পত্তি ফেরতসহ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানান তিনি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ ন র য়ণগঞ জ র জ ল সনদ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে নারী-পুরুষের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে নারী ও পুরুষের দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
সকাল ৯ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিএনডি লেকে আনুমানিক ২১ বছর বয়সী একজন যুবকের মরদেহ পানিতে ভেসে উঠলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে ওই যুবকের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৯টায় চিটাগাংরোডস্থ শিমরাইল মোড় এলাকায় গৃহবধূ লাকি আক্তারের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হয়।
লাকি আক্তার (৩৫) শিমরাইল মোড় এলাকার রুবেল মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, গৃহবধূ লাকি নিজের স্বামীকে রেখে নিরব নামে আরেক প্রতিবেশীর বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ৬ মাস ধরে যাতায়াত করছিলেন। মঙ্গলবার রাতেও তিনি নিরবের বাসায় যান। ওই বাসার সামনেই মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
নিহত লাকি আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করতে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, নিহত নারীর স্বামীর নাম রুবেল মিয়া। তিনি নিজের স্বামীর পরিবর্তে নিরব নামে আরেক যুবকের সঙ্গে থাকছিল। আমরা ওই নিরবের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, “গৃহবধূ লাকি আক্তার নিরব নামক আরেক ব্যক্তির বাসায় ছিল। আশপাশের মানুষ জানিয়েছে, এই নারী দীর্ঘ ৬-৭ মাস ধরে নিরবের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রেখে তার বাসায় যাতায়াত করতো। তার ধারাবাহিকতায় রাতেও এসেছিল।”
তিনি বলেন, “মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে পরকীয়া প্রেমিক নিরব পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।”
ঢাকা/অনিক/মেহেদী