চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবিতে রেললাইন অবরোধ
Published: 15th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী সব আন্তনগর ট্রেন চালুর দাবিতে রেললাইন অবরোধ, মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সমিতি।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল, শিল্প ও বণিক সমিতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ব্যানারসহ মানববন্ধনে দাঁড়ান তাঁরা। একই সময় চলে সমাবেশ। একদল আন্দোলনকারী রাজশাহীগামী মল্লিকা কমিউটার ট্রেনের সামনে অবস্থান নেন। এতে ট্রেনটি নির্ধারিত সময় সোয়া ১০টার পরিবর্তে ছাড়ে ১০টা ৪৫ মিনিটে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন। বক্তব্য দেন জামায়াত নেতা নুরুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান, সুজনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, নাগরিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, শিল্প ও বণিক সমিতির সহসভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহনেওয়াজ খান প্রমুখ।
বক্তারা রাজশাহী থেকে যেসব আন্তনগর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়, সেসব ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চালুসহ রহনপুর রেলবন্দর, আমনুরা জংশন রেলস্টেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন আধুনিকীকরণে দাবি জানান। তাঁরা বলেন, এটা চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি। দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী দিনে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি নেওয়া হবে।
স্টেশনমাস্টার মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রীশ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে তারা এই মানববন্ধন করে। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে আটক পরেশ চন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র শীলের মুক্তির দাবিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের অত্যাচার–নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়।
মানববন্ধনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে বুলডোজার দিয়ে খিলক্ষেতে দুর্গামন্দির উচ্ছেদ এবং মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
খিলক্ষেতের মন্দির ভাঙার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার হালদার। তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকারকে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে খিলক্ষেত অভিমুখে লংমার্চ করা হবে। ভাঙা মন্দির পুনর্নির্মাণে সহায়তা দিতেও সরকারের প্রতি দাবি জানান প্রসেনজিৎ কুমার।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের পক্ষে প্রদীপ কান্তি দে, সুশান্ত অধিকারী, তন্ময় মৌলিক, তিয়াশ সরকার, সুদীপ্ত প্রামাণিক, সাজেন কৃষ্ণ বল, পিজুস দাস, পলাশ সেন, পিংকু ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।