আদালতের জামিন আদেশের পর গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ২৭ বিডিআরের সাবেক (বর্তমানে বিজিবি) জওয়ান।  কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কারাফটকের সামনে তাদের গ্রহণ করেন স্বজনরা। ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পর বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তারা এতদিন কারাগারে ছিলেন।

কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় গত সোমবার ৪০ আসামিকে জামিন দেন আদালত। তাদের মধ্যে কাশিমপুরের তিনটি কারাগারে বন্দি থাকা ২৭ সদস্যের জামিনের কাগজপত্র বুধবার বিকেলে এসে পৌঁছায়। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আজ তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। বন্দিদের মধ্যে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ১২ জন, কারাগার পার্ট-১ থেকে পাঁচজন এবং পার্ট-২ থেকে ১০ জওয়ান মুক্তি পেয়েছেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। এতে বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। সব মিলিয়ে ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিদ্রোহের ঘটনায় পরদিন ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ড আর ব দ র হ ব ড আর

এছাড়াও পড়ুন:

ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমার সময় বাড়ল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব‌্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন‌্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।

নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদ‌স‌্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিয়েছে। এজন‌্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”

দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ‌্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”

যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।” 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব‌্যাংক গ‌্যারান্টি জমার সময় বাড়ল