মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সরাসরি দেখা না করা পর্যন্ত ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অসম্ভব। বৃহস্পতিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন।

ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাশিয়া তুরস্কে যে স্তরের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে তাতে তিনি কি হতাশ?

জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “দেখুন, পুতিন এবং আমি একসাথে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না। ঠিক আছে? এবং স্পষ্টতই তিনি যাবেন না। তিনি যাবেন, কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন আমি যাব।”

ট্রাম্প আরো বলেন, “আমি সেখানে না থাকলে তিনি যাবেন না এবং আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, আমি বিশ্বাস করি না যে, যতক্ষণ না তিনি এবং আমি একসাথে হই, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু ঘটবে। তবে আমাদের এটি সমাধান করতে হবে। কারণ অনেক লোক মারা যাচ্ছে।”

যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তুরস্কে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ আলোচনা হওয়ার কথা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই শান্তি আলোচনায় অংশ নেন, তাহলে তিনি বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বৈঠকের প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ট্রাইব্যুনালের

জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি পলাতক হাসিবুরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল-২ আজ সোমবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে সকালে এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্টার কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে তৎকালীন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ৩০ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। একই সঙ্গে আবু সাঈদকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র প্রসিকিউশনে জমা দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় চার আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন- রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী।

গতবছর ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ