মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সরাসরি দেখা না করা পর্যন্ত ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অসম্ভব। বৃহস্পতিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন।

ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাশিয়া তুরস্কে যে স্তরের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে তাতে তিনি কি হতাশ?

জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “দেখুন, পুতিন এবং আমি একসাথে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না। ঠিক আছে? এবং স্পষ্টতই তিনি যাবেন না। তিনি যাবেন, কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন আমি যাব।”

ট্রাম্প আরো বলেন, “আমি সেখানে না থাকলে তিনি যাবেন না এবং আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, আমি বিশ্বাস করি না যে, যতক্ষণ না তিনি এবং আমি একসাথে হই, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু ঘটবে। তবে আমাদের এটি সমাধান করতে হবে। কারণ অনেক লোক মারা যাচ্ছে।”

যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তুরস্কে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ আলোচনা হওয়ার কথা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই শান্তি আলোচনায় অংশ নেন, তাহলে তিনি বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বৈঠকের প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ