মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সরাসরি দেখা না করা পর্যন্ত ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অসম্ভব। বৃহস্পতিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেছেন।

ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাশিয়া তুরস্কে যে স্তরের প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে তাতে তিনি কি হতাশ?

জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “দেখুন, পুতিন এবং আমি একসাথে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই ঘটবে না। ঠিক আছে? এবং স্পষ্টতই তিনি যাবেন না। তিনি যাবেন, কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন আমি যাব।”

ট্রাম্প আরো বলেন, “আমি সেখানে না থাকলে তিনি যাবেন না এবং আপনি পছন্দ করুন বা না করুন, আমি বিশ্বাস করি না যে, যতক্ষণ না তিনি এবং আমি একসাথে হই, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু ঘটবে। তবে আমাদের এটি সমাধান করতে হবে। কারণ অনেক লোক মারা যাচ্ছে।”

যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে তুরস্কে বৃহস্পতিবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের এ আলোচনা হওয়ার কথা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এই শান্তি আলোচনায় অংশ নেন, তাহলে তিনি বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বৈঠকের প্রতিনিধিদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম নেই। 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দগ্ধ শিক্ষক মাহফুজা খাতুনও চলে গেলেন

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষক মাহফুজা খাতুন (৪৫) মারা গেছেন। রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ২৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মাহফুজার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাঁর শ্বাসনালি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাহফুজার বাবার নাম মো. মহসিন আলী। তাঁর স্বামীর নাম ওমর আলী। আয়েশা সিদ্দীকা নামে তাঁর একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি তুরাগের বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

মারা যাওয়ার দুদিন আগে মাহফুজা খাতুনের সঙ্গে শেষবারের মতো কথা বলেন বড় বোন লুৎফুন নাহার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাহফুজা বলেছিল, “আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। আমি আর বাঁচব না।”’

গতকাল মাগরিবের নামাজের পর দিয়াবাড়ি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে মাহফুজা খাতুনের জানাজা হয়। পরে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানান স্কুলের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসের হায়দার আলী ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫–এ। দগ্ধ অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বার্ন ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৯ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছেন ১৪ জন। দগ্ধ ২১ জনের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের মধ্যে একজন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্র জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থী–শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৩ জন অভিভাবক, ১ জন আয়া রয়েছেন। বিমানের পাইলটসহ এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৫।

সম্পর্কিত নিবন্ধ