রাকিবুলের ব্যাটে-বলে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
Published: 16th, May 2025 GMT
রাকিবুল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। স্কোরবোর্ডে কম পুঁজি হলেও দারুণ ক্যামিও ইনিংস খেলে এবং ঘূর্ণি জাদুতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রাকিবুল।
রাজশাহীতে শুক্রবার (১৬ মে) আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২৫ রানে থেমে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারী প্রোটিয়ারা। ৩৪ রানের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিক শিবির।
ব্যাট হাতে ৪২ রানের পাশাপাশি বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন রাকিবুল।
আরো পড়ুন:
মিলল ছাড়পত্র, গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচেই মোস্তাফিজকে পাবে দিল্লি
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন দল ৪৪ কোটি, বাংলাদেশ পাবে কত?
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় তারা। তবে দলীয় ৬৭ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর থেকে শুরু হয় পতনের ধারা। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে তিয়ান মিচেলের ব্যাট থেকে।
এ ছাড়া হ্যান্ডসম মোকেনা ৩৭, অ্যান্ডিল চার্লস ৩৫ এবং অধিনায়ক জর্জ মার্টিনাস ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। থিতু হওয়ার পরও লম্বা ইনিংস খেলতে না পারাই কাল হয় প্রোটিয়া শিবিরের জন্য।
বাংলাদেশের হয়ে রাকিবুল একাই নেন ৪ উইকেট। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে উইকেটগুলো শিকার করেন তিনি। মাহফুজুর রাব্বি ও ওয়াসি সিদ্দিকি ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। সর্বোচ্চ ৫৮ রান আসে মাহফুজুরের ব্যাট থেকে। ৪০ বলে ৪২ রান করে দুইশ ছাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন রাকিবুল। অধিনায়ক আকবরের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান এবং মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ২৬ রান।
প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সেসোনা। তিয়ান মিচেল নেন ২টি উইকেট।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালির হার্ডওয়্যার ভালো থাকলেও সফটওয়্যার ভালো ছিল না
মানুষ এমন এক জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে যেখানে তার মস্তিষ্ক, চোখ এবং পাকস্থলির ওপর বেশি চাপ প্রয়োগ করছে। আর তাতেই গড় আয়ু পেরোনোর আগেই মরে যাচ্ছে মানুষ—এমনটাই মনে করেন ভারতের বিখ্যাত ইয়োগা গুরু বাবা রামদেব। বলিউডজুড়ে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি জরিওয়ালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে একদিকে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্যদিকে রামদেব বলছেন, ‘‘শেফালির হার্ডওয়্যার’ ভালো থাকলেও ‘সফটওয়্যার’- ভালো ছিল না। অর্থাৎ বাইরে থেকে শেফালিকে সুস্থ মনে হলেও তিনি ভেতরে ভেতরে অসুস্থ ছিলেন।
পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, শেফালির রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়ার কারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়। তার ফলেই মৃত্যু হয়। রক্তচাপ কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে গ্লুটাথিয়ন নামের এক রাসায়নিক। যা প্রাথমিকভাবে বয়স প্রতিরোধী ওষুধের (অ্যান্টি এজিং) মধ্যে পাওয়া যায়। শেফালির বাড়ি থেকেও বার্ধক্য প্রতিরোধকারী ওষুধের ২টি বাক্স খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ফলে সেই ওষুধের প্রভাবেও হঠাৎ কমে যেতে পারে রক্তচাপ।
অ্যান্টি এজিং ক্রিম ব্যবহার ভালো না মন্দ সেই বিতর্কে না গিয়ে রামদেব বলেছেন, ‘‘মানুষের স্বাভাবিক গড় আয়ু ১০০ বছর নয়, বরং ১৫০ থেকে ২০০ বছর।’’
আরো পড়ুন:
শুভ জন্মদিন জয়া আহসান
‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’
বাবা রামদেব বলেন, ‘‘মানুষ নিজের মস্তিস্ক, চোখ, পাকস্থলীর ওপর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চাপ দিয়ে ফেলে। যে খাবার ১০০ বছরে একজন মানুষের খাওয়া উচিত, সেই খাবারই মাত্র ২৫ বছরে খেয়ে নেয় মানুষ।’’
এই যোগগুরুর বষয় ৬০ বছর পেরিয়েছে। কিন্তু তিনি যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে দাবি করেছেন। কেবলমাত্র সঠিক খাবার গ্রহণ এবং জীবনধারণের জন্যই সুস্থ আছেন বলেও জানিয়েছেন রামদেব।
রামদেবে মতে কেবলমাত্র বাইরে থেকে নয়, প্রকৃত সুস্থ থাকার অর্থ ভেতর থেকেও সবল থাকা। সুস্থ থাকার জন্য তাই নিজের জীবনে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট থাকতে হবে। খাদ্যাভাস, আচার ব্যবহার, সব কিছুর ওপরেই সুস্থ থাকা নির্ভরশীল।
ঢাকা/লিপি