১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের আরাধ্য প্রথম জয়টি এসেছিল ১৯৯৮ সালের আজকের এই দিনে। ভারতের হায়দরাবাদে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে কেনিয়াকে হারানো সেই ম্যাচটা কাভার করেছিলেন প্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক অঘোর মন্ডল। ২০২২ সালে প্রথম জয়ের দুই যুগ পূর্তির দিনে সেই স্মৃতিচারণ করেছিলেন প্রথম আলো-তে। ক্রিকেটপ্রেমী পাঠকদের জন্য লেখাটি আবার প্রকাশ করা হলো।

নিজামের শহর। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়। এই দুটো বাক্য পড়ার পর মনে হতে পারে; ক্রিকেট ব্যালকিনতে বসে কেউ রূপকথার বই হাতে নিয়ে পাতা উল্টাতে শুরু করলেন! হ্যাঁ, বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয় রূপকথা মনে হতেই পারে। হওয়াটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ এখন দেশে-বিদেশে ওয়ানডে ম্যাচ জিতছে, সিরিজ জিতছে। কত সাফল্যের গল্পগাথা! দুই যুগ আগে কেনিয়ার বিপক্ষে একটা জয়কে মনে রাখার কী আছে!

বাঁহাতি স্পিনে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ওপেন করতে নেমে ৭৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা রফিকই ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুঃখ প্রকাশ করলেন আইন উপদেষ্টা

চিকিৎসকদের নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রবিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ‘ডাক্তার প্রসঙ্গ’ শিরোনামে একটি পোস্ট দেন তিনি। রাইজিংবিডি পাঠকদের জন্য তার পোস্ট তুলে ধরা হলো:

‘‘গতকাল একটি অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের সম্পর্কে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। প্রথমে রোগী হিসেবে আমার ভালো অভিজ্ঞতার কথা বলেছি। তারপর অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জানা কিছু সমালোচনার কথা বলেছি।

সেখানে আমি বলেছি, এই সমালোচনাগুলো সব ডাক্তারদের জন্য প্রযোজ্য না। বলেছি, অনেক ডাক্তার আছেন ভালো, কিন্তু অন্য অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগও আছে। কিছু অভিযোগ স্টেটমেন্ট আকারে বলেছি, কিছু প্রশ্ন আকারে।

পত্রপত্রিকা যখন এগুলো ছাপিয়েছে তখন আমার সম্পূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেনি। ফলে কারো কাছে মনে হতে পারে যে, রোগীর কথা মন দিয়ে না শোনা, বেশি টেস্ট করতে দেওয়া বা ঔষধ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ- আমি এসব অভিযোগ ঢালাওভাবে সব ডাক্তারদের সম্পর্কে করেছি।  কিন্তু এটি ঠিক নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাচ্ছি, আমার এসব অভিযোগ এক শ্রেণির ডাক্তারদের বিরুদ্ধে, সব ডাক্তারদের বিরুদ্ধে না।

আমার বক্তব্য যেভাবে কিছু পত্রিকা ছাপানো হয়েছে, মনে হতে পারে অভিযোগগুলো সবার উদ্দেশ্যে করা। প্রচণ্ড ত্যাগ, সততা আর দক্ষতা নিয়ে এ দেশের যে বিপুল সংখ্যক ডাক্তার রোগীদের সেবা করেন, তাদের কাছে এটি গভীর মনোবেদনার কারণ হতে পারে।

এমন ডাক্তার ভাই-বোনদের কাছে আমি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে, কিছু কিছু ডাক্তারের (তারা সংখ্যায় কম হতে পারেন) ক্ষেত্রে এসব অভিযোগ সত্যি কি-না তা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধও তাদের কাছে করছি।’’

এর আগে, আসিফ নজরুলের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। তারা উপদেষ্টার বক্তব্যকে চিকিৎসকদের জন্য ‘অবমাননাকর’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

শনিবার সকালে রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিপিএইচসিডিওএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘পৃথিবীতে কোন জায়গায় হসপিটালে, প্রাইভেট ক্লিনিকে সব সময় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট টাইম থাকে ডাক্তারের?...আপনারা ওষুধ কোম্পানির দালাল? এ দেশে বড় বড় হসপিটালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যস্বত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের?।’’

ঢাকা/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ