ব্যাংক থেকে ডলার কেনাবেচায় এখন ডলারের দাম ছাড়া আর কোনো মাশুল আদায় করা যাবে না। তবে বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্টে ডলার সংযুক্তি বা এনডোর্সমেন্টের মাশুল হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। খোলাবাজারে ডলারের দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে এই নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ শনিবার এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর কাছে পাঁচ কোটি ডলার নগদ মুদ্রা রয়েছে। এরপরও অনেক গ্রাহক ডলার কেনাবেচার জন্য ব্যাংকে যাচ্ছে না। কারণ, অনেক ব্যাংক ডলার কেনাবেচার ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত মাশুল আদায় করছে। গ্রাহকেরা যাতে ডলার কেনাবেচার জন্য ব্যাংকমুখী হন, এ জন্য সব ধরনের মাশুল তুলে দেওয়া হয়েছে।’

জানা যায়, বিদেশ ভ্রমণের টিকিট, ভিসাসহ পাসপোর্ট জমা দিলে ব্যাংকগুলো থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে পারছেন গ্রাহকেরা। এতে প্রতি ডলারের দাম পড়ছে ১২৩ টাকা। যদিও খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বা চার্জ আদায়ের পাশাপাশি পৃথকভাবে কমিশন আদায় করা হচ্ছে। এই কারণে ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে গ্রাহকেরা নিরূৎসাহিত হচ্ছেন। এ জন্য ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কেনা উৎসাহিত করতে এনডোর্সমেন্ট মাশুল ছাড়া অন্য কোনো কমিশন বা মাশুল আদায় করা যাবে না। আর পাসপোর্টে ডলার এনডোর্সমেন্ট মাশুল হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র হক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ