‘তাণ্ডব’ ফোরকাস্টে শাকিবের ঝোড়ো উপস্থিতি, রহস্য আর উত্তেজনা
Published: 18th, May 2025 GMT
‘প্রিয়তমা’ দিয়ে নতুন এক শাকিব খানের শুরু। একের পর এক নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন যেন নিয়মে পরিণত করে নিয়েছেন এই চিত্রনায়ক। ‘প্রিয়তমা’ ছবির পর ‘রাজকুমার’, ‘দরদ’, ‘তুফান’ ও ‘বরবাদ’ হয়ে এবার ‘তাণ্ডব’–এও যেন অন্য এক শাকিব খান ধরা দিতে যাচ্ছেন। এবারও অন্য রকম লুকে দেখা যাবে তাঁকে, যার পূর্বাভাস আজ রোববার সকালে দেখা গেল। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের ফোরকাস্টে তেমনটাই দেখা গেল।
‘আকস্মিকভাবে দেশের আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। আজ দেশজুড়ে ভয়াবহ দুর্যোগের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের সব পুলিশ স্টেশনকে ১০ নম্বর মহাবিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সমগ্র দেশের তাপমাত্রা আর বাতাসের গতিবেগ আজ অস্বাভাবিক রকম ভয়ংকর। সমগ্র দেশবাসীকে তাই আজ যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানেই অবস্থান করতে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’ এভাবে ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ফোরকাস্টের শুরু। ‘তাণ্ডব’ সিনেমার ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের পূর্বাভাসের প্রথমাংশে এভাবেই দেওয়া হলো সতর্কবার্তা।
‘তাণ্ডব’–এ জয়া আহসান। প্রযোজনা সংস্থার সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে হাসপাতালের বারান্দায় ২ নারীর সন্তান প্রসব
সিলেট ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নারী সন্তান প্রসব করেছেন। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।
স্বজনদের অভিযোগ, প্রসব বেদনায় ছটফট করলেও লেবার ওয়ার্ডের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সরা জানারও পরও সেবা দিতে এগিয়ে আসেনি প্রসূতিদের। পরে হাসপাতালের বারান্দায় নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে আড়াল করে সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করেন অন্যান্য রোগীর স্বজনরা।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। দুই প্রসূতির একজন এসেছিলেন গোলাপগঞ্জের বাউসি গ্রাম থেকে। তিনি ওই গ্রামের রতন দাসের স্ত্রী মিতালী দাস (২৫)। তিনি একটি পূত্র সন্তান প্রসব করেছেন।
অন্যজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর গ্রামের মো. শাহিনের স্ত্রী সুমি বেগম (১৯)। তিনিও একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দুই প্রসূতির স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, এদিন বিকেল ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় তলার ১৫নং ওয়ার্ডে সামনে পৌঁছান দুই প্রসূতি ও তাদের স্বজনরা। স্বজনরা কর্তব্যরত নার্সের কাছে গেলেও তারা তাদের কথা শোনেনি বরং সিরিয়াল ধরার নির্দেশ দিয়ে দুই নার্স নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। রোগীর অবস্থা জরুরি বলার পরেও তারা জানিয়ে দেন তাদের করার কিছু নেই।
এ অবস্থায় বসে থাকা একজন প্রসূতির চিৎকার ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বসা অবস্থাতেই তিনি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেন। তখন উপস্থিত স্বজন ও অন্যান্যরা দ্রুত আড়াল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
এই আড়াল দিতে গিয়েও তারা নার্সদের কাছ থেকে কোনো সহযোগীতা পাননি। পর্দা করার জন্য একটা চাদর চাইলেও তারা সাড়া দেননি। পরে সেখানে উপস্থিত নারীরা নিজেদের পরনের কাপড় দিয়ে পর্দার ব্যবস্থা করেন। প্রথমজনের ১০ মিনিট পরে অপর প্রসূতিও একইভাবে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, “যে ওয়ার্ডটিতে সন্তান প্রসব করেছেন সেটা পুরোটাই লেবার ওয়ার্ড। এখানে প্রতিদিন দেড় থেকে ২০০ নারী আসেন। যারা বিভিন্ন উপজেলা থেকে রেফার্ড হয়ে আসেন। দেখা যায় তারা অন্তিম মুহূর্তে আসেন তখন সিরিয়াল থাকে না। এছাড়া একটি বাচ্চা চার মাস আগে ডেড ছিল। সেটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অপর মায়ের ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।”
তিনি জানান, কোন এক রোগীর স্বজন লেবার ওয়ার্ডের ছবি তুলে বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এখানে ডাক্তার বা নার্সদের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না। সবাই ওভার লোডেড হয়ে কাজ করছে। তার জন্য চাইলেও আমরা শতভাগ সার্ভিস দিতে পরি না। সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
ঢাকা/নূর/এস