যেসব ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট একসঙ্গে নিতে নেই
Published: 17th, June 2025 GMT
সুষম খাবার খেলেই একজন সুস্থ মানুষের রোজকার ভিটামিন ও মিনারেলের চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। কেবল বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট। কখনো কখনো একজন ব্যক্তির একাধিক সাপ্লিমেন্টেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে সব সাপ্লিমেন্ট আবার একই সময়ে গ্রহণ করাও উচিত নয়।
ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.
ক্যালসিয়াম ও আয়রনের সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হয় অনেকেরই। তবে মনে রাখতে হবে, ক্যালসিয়ামের উপস্থিতিতে আয়রন ঠিকভাবে শোষিত হয় না। অর্থাৎ আয়রন আর ক্যালসিয়াম একসঙ্গে গ্রহণ করা হলে সাপ্লিমেন্টে থাকা আয়রনের অনেকটা অংশই আপনার কাজে আসবে না। তাই আয়রন ও ক্যালসিয়াম খেতে হবে দুটি ভিন্ন সময়ে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে খালি পেটে। ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া যেতে পারে কোনো খাবার খাওয়ার পর। এই দুই সাপ্লিমেন্ট আপনি দুটি ভিন্ন বেলায় খেতে পারেন। কাছাকাছি সময়ে খেতে চাইলেও অন্তত দুই ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। যে বেলায় আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করছেন, সেই বেলায় টক ফল খাওয়া ভালো। তাতে আয়রনের শোষণ বাড়বে।
কিছু কিছু সাপ্লিমেন্ট কাছাকাছি সময়ে খেতে হলেও অন্তত দুই ঘণ্টার ব্যবধান রাখুনউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য লস য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে একটি সুন্দর দিন উপহার দিতে যা যা করতে পারেন
একজন বাবা তার সন্তানকে সুখী করার জন্য কত কিছুই না করেন। এইতো কয়েকদিন আগে এক বাবা তার আয়ের প্রায় সবটুকু জমিয়ে সন্তানের জন্য সাইকেল কিনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজের কাছে বাসের টিকিট কেনারও টাকা ছিলো না। অগত্যা বাবা সন্তানের জন্য কেনা সাইকেল চালিয়ে শত শত মাইল দূরের বাড়ির দিকে রওনা করেছিলেন।– এমন কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমরা সব সময় সব খবর পাই না। বাবারা আমাদের সুপারহিরো। বাবাকে সুখী করার জন্য আমরাও ছোট ছোট অনেক কিছুই করতে পারি।
বাবার শৈশবের গল্পটা আজ শুনতে পারেন: আজ বাবা দিবস। এ দিবসে আপনি আপনার বাবার শৈশব সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারেন। একটি প্রশ্নই আপনার বাবাকে তার রঙিন শৈশবের দিকে ফিরিয়ে দেবে। এটা সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু গল্প ভাগাভাগি করার সময় আপনিও সেই গল্পের পার্ট হয়ে উঠতে পারবেন। বাবাকে জিজ্ঞাসা করুন ছোটবেলায় তার প্রিয় জিনিসগুলো কেমন ছিলো, সেগুলো কি কি, এখনও বাবা কোন স্মৃতিগুলো লালন করেন সেই সব কিছু জানতে পারেন। এই প্রশ্ন-উত্তরের মুহূর্তগুলো আপনাদের সম্পর্ক সুন্দর করে তুলবে।
বাবার সাথে গাছ লাগাতে পারেন: বাবা দিবস এমন একটি সময়ে আসে, যখন প্রকৃতিতে বৃষ্টি থাকে। সময়টা গাছ লাগানোর জন্য একেবারে উপযুক্ত। এই দিনে বাবার সঙ্গে গাছ লাগাতে পারেন। বাগান থাকলে বাবার সঙ্গে বাগান পরিচর্যা করতে পারেন। গাছের যত্ন নিন, গাছ সম্পর্কে কথা বলুন। দেখবেন সময়টা উপভোগ্য হয়ে উঠছে।
বাবার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিন: বাবার দিনটি মিষ্টি করে তুলতে তার প্রিয় মিষ্টি উপহার দিতে পারেন। নিজেই বাবার জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কেক, কুকিজ, পুডিং, মৌসুমী ফলের শরবত।
বিকেলটা একসঙ্গে উপভোগ করুন: বাবার সঙ্গে বিকেলের শান্ত প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন। বাবার সঙ্গে আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা বিকেল কাটান।
বাবার প্রিয় খাবারের আয়োজন থাকুক ডিনারে: রাতের খাবারের আয়োজনটি বাবার জন্য বিশেষ করে তুলুন। হয়তো আপনার বাবার এমন কোনো প্রিয় খাবার আছে, সেই খাবার রান্নার চেষ্টা করুন। পরিবেশনায় আলাদা নৈপূন্য যোগ করুন।
বাবার সঙ্গে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন: বাবার সাথে প্রকৃতির শান্ত মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য দূরবীন ব্যবহার করতে পারেন। বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে দূরবীন দিয়ে দূরের পাখি ওরা দেখতে পারেন। আপনি আর আপনার বাবা একসঙ্গে কোনো পার্কে বা বনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে পারেন। একসঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে গল্প বলতে পারেন।
শুধু বাবা দিবসে নয় বছরের অন্যান্য দিনগুলোতেও বাবারা তার সন্তানের কাছ থেকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, মনোযোগ আর প্রাপ্য সম্মানটুকু পাক।
ঢাকা/লিপি