শ্লীলতাহানির অভিযোগে শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী পুলিশ হেফাজতে
Published: 20th, June 2025 GMT
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে এই দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটক দুই শিক্ষার্থী হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শান্ত তারা আদনান এবং স্বাগত দাশ পার্থ।
এসএমপির কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত মাসে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞান করে তারা শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়। এসময় তারা ছাত্রীটির অজান্তে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করে। দীর্ঘ এক মাস পর, ১৯ জুন ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ অভিযুক্তদের ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শনাক্ত করে ও আটক করে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক বলেন, ‘‘আমরা অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রেখেছি। তাদের বিরুদ্ধে আজ (শুক্রবার) সকালে মামলা হয়েছে। তাদের আদালতে চালান দেওয়া হচ্ছে।’’
ঢাকা/নুর/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইনচ র জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাধুর ছদ্মবেশে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এক ব্যক্তি সাধুর ছদ্মবেশে নিজের স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। দিল্লি পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে দক্ষিণ দিল্লির নেব সারাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, নিহত ওই নারীর নাম কিরণ ঝা। তাঁর স্বামীর নাম প্রমোদ ঝা। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে প্রমোদ বাড়িতে গিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। পরে সকালে প্রতিবেশীরা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখনই বিষয়টি সামনে আসে। ঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে কিরণ ঝায়ের ব্যাপারে খবর পায়। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত প্রমোদ ঝা রাত ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে কিরণের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি তখনই পালিয়ে যান।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ৫৫ বছর বয়সী প্রমোদ ঝা বিহারের মুঙ্গের জেলার বাসিন্দা। ১০ বছর আগে তিনি তাঁর স্ত্রী কিরণ ঝায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান। কিরণ দিল্লিতে হেলথকেয়ারে কাজ করতেন। ১ আগস্ট প্রমোদ আবার দিল্লিতে আসেন।
কিরণ তাঁর ছেলে দুর্গেশ ঝা, পুত্রবধূ কমল ঝা ও নাতনিকে নিয়ে থাকতেন। দুর্গেশ বিহারের দরভাঙ্গায় একটি মাইক্রোফিন্যান্স কোম্পানিতে কাজ করেন। এ ঘটনার সময় তিনি দিল্লিতে ছিলেন না।
ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রমোদ ঝাকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ বলছে, হত্যার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়, তবে তদন্ত চলছে।