এশিয়া কাপ আর্চারিতে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে আলিফের স্বর্ণ
Published: 20th, June 2025 GMT
বাংলাদেশের আর্চার আবদুর রহমান আলিফের সুবাদে সিঙ্গাপুরে উড়ল লাল সবুজের পতাকা। এশিয়া কাপে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি।
আর্চারির রিকার্ভ পুরুষ এককে ফাইনালে আলিফ ৬-৪ সেট পয়েন্টে হারিয়েছেন জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে। প্রথম দুই সেটে এগিয়ে ছিলেন আলিফ।
তবে দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে জাপানের আর্চারের সঙ্গে। প্রথম সেটে আলিফের স্কোর ছিল ২৮, গাকুতোর স্কোর ছিল ২৭। পরের সেটে আলিফ ২৯ ও গাকুতো ২৮ পয়েন্ট স্কোর করেন। পরেই ঘুরে দাঁড়ান জাপানের আর্চার। পরের দুই সেট জিতে খেলায় সমতা আনেন তিনি।
তৃতীয় সেটে গাকুতো করেন ২৮। আলিফ করেন ২৭। চতুর্থ সেটেও এগিয়ে যান গাকুতো। তিনি মারেন ২৭। আলিফ ২৬ স্কোর করে পিছিয়ে পড়েন। স্বর্ণের সুরাহা করতে পঞ্চম সেটে গড়ায় খেলা। সেখানে রুদ্ধশ্বাস শেষ শটে আলিফ মারেন ২৯। আর গাকুতো ২৬ করেন।
বিকেএসপি থেকে উঠে আসা আর্চার আলিফ গত বছরের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান যুব আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে রিকার্ভ এককে ফাইনালে চীনা তাইপের আর্চারের কাছে হেরেছিলেন। তিনি বিশ্বকাপ, এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান আর্চারি গ্রাঁ প্রিঁর মতো টুর্নামেন্টে অংশ নিলেও এবারই প্রথম একক ইভেন্টে পদক পেলেন।
বাংলাদেশে আর্চারিতে পুরুষ বিভাগের রিকার্ভ এককে একক রাজত্ব ছিল রোমান সানার। আর্চারি ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় দু’জনই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর্চারির হাল এখন বিকেএসপির দুই যুবক আলিফ ও সাগর ইসলামের কাঁধে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
টানা দ্বিতীয়বার জাতিসংঘের ‘কালো তালিকায়’ ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।
এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে ১ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। খবর আলজাজিরার