ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ১৭ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাগেন ডেভিড অ্যাডমের (এমডিএ) বরাতে এ তথ্য  জানিয়েছে আলজাজিরা।

এদিকে এমডিএর বিবৃতির বরাত দিয়ে এএফপি প্রাথমিকভাবে জানায়, ইসরায়েলে  দুজন আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৬ বছর বয়সী তরুণকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তার শরীরের ওপরের অংশে আঘাত রয়েছে। আর এক ৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তির অবস্থা খুব বেশি গুরুতর নয়। তিনি পায়ের নিচের অংশে আঘাত পেয়েছেন।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই দুজনসহ ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এসব ব্যক্তি কোথায় অবস্থান করছিলেন, তা জানায়নি এমডিএ। অর্থাৎ ইরানের ছোড়া নতুন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত হেনেছে, তা প্রকাশ করেনি ইসরায়েল।

এর আগে বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অল্প কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হওয়ার পর দেশজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বেজে উঠেছে। ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। দেশবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঢোকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের হাইফা শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ভিডিওটি কিছুক্ষণ আগের বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল গ র তর অবস থ এমড এ

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা অব্যাহত, শুক্রবারের হামলায় আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যেও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার উপত্যকাটিতে আরও ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এরমধ্যে মধ্য গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৭ জন। তাদের ২৩ জন ত্রাণ আনতে গিয়ে দখলদারদের হাতে নিহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে নিহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আর দক্ষিণ গাজায় প্রাণ গেছে ২২ জনের। এদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ আনতে গিয়েছিলেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধ চলমান থাকায় টানা দ্বিতীয় বছরের মতো শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার কারণে ইসরায়েলকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুদ্ধপীড়িত অঞ্চলে শিশুদের ওপর সহিংসতা ‘চরম মাত্রায়’ পৌঁছেছে। এর মধ্যে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

‘সশস্ত্র সংঘাতে শিশু’বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর বিশ্বব্যাপী শিশুদের বিরুদ্ধে গুরুতর সহিংসতার ঘটনা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪ সালে মোট ৪১ হাজার ৩৭০টি গুরুতর সহিংসতা যাচাই করে দেখা গেছে, এর মধ্যে শিশুদের হত্যা, শারীরিকভাবে আহত করা, যৌন সহিংসতা এবং স্কুল-হাসপাতালে হামলার মতো ঘটনা রয়েছে।

এর মধ্যে শুধু ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ইসরায়েলে ২ হাজার ৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮ হাজার ৫৫৪টি গুরুতর সহিংসতার ঘটনা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। এই সংখ্যা অনুযায়ী, গাজায় গত এক বছরে  ১ হাজার ২৫৯  ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে এবং ৯৪১ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহত শিশুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে গাজায় আরও ৪ হাজার ৪৭০ শিশু নিহতের তথ্য যাচাই চলছে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৯৭ ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যুর তথ্যও নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। সেখানে ৩ হাজার ৬৮৮টি শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

সূত্র: আলজাজিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ