বিভিন্ন দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী সমাধান ও নতুন পণ্য নিয়ে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে বসছে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘টাইট্রনিকস অ্যান্ড এআইওটি তাইওয়ান ২০২৫’–এর ৫১তম আসর। আগামীকাল বুধবার তাইপের নানগ্যাং এক্সিবিশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে তিন দিনের এই প্রযুক্তি প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) অংশ নিচ্ছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিসিএস।

বিসিএসের পরিচালক মো.

ইকবাল হোসাইন, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ তোজাম্মেল উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছেন বিসিএসে আরও ২৭ জন সদস্য। আন্তর্জাতিক এই প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন। তাঁদের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিসিএস সদস্যরা বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তাইওয়ান এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (টাইট্রা) ও তাইওয়ান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিইইএমএ)। টাইট্রনিকস হলো একটি আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনী আর এআইওটি তাইওয়ান হচ্ছে তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ইওয় ন ব স এস

এছাড়াও পড়ুন:

‘শান্তির জন্য ভূখণ্ড ছাড় নয়’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে শান্তিচুক্তি করার জন্য রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেবে না তারা। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের চুক্তি করার কোনো সুযোগ নেই। তারা হোয়াইট হাউসে একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লন্ডনে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত সোমবার তিনি এ কথা বলেন।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে কয়েক দিন ধরে টানা আলোচনা হয়। তবে যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এএফপির খবরে বলা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মঙ্গলবারের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব পাঠাতে পারেন তাঁরা। ভূখণ্ড ছাড় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে রাশিয়া, কিন্তু আমরা কোনো ভূখণ্ড ছাড় দেব না। ইউক্রেনের আইন, সংবিধান এমনকি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। নৈতিকভাবেও আমরা এটা করতে পারি না।’

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভ বলেছেন, ইউক্রেনের সম্মুখসারির বিভিন্ন অংশে রুশ বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের কাছে অবস্থিত মিরনোহরাদকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। রাশিয়ার দাবি, তারা পোকরোভস্ক দখল করেছে। এর ফলে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক—এই দুই প্রতিবেশী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে পুতিন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ