বিভিন্ন দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী সমাধান ও নতুন পণ্য নিয়ে তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে বসছে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘টাইট্রনিকস অ্যান্ড এআইওটি তাইওয়ান ২০২৫’–এর ৫১তম আসর। আগামীকাল বুধবার তাইপের নানগ্যাং এক্সিবিশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে তিন দিনের এই প্রযুক্তি প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) অংশ নিচ্ছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিসিএস।

বিসিএসের পরিচালক মো.

ইকবাল হোসাইন, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ তোজাম্মেল উদ্দিন সিকদারের নেতৃত্বে এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করছেন বিসিএসে আরও ২৭ জন সদস্য। আন্তর্জাতিক এই প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন। তাঁদের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনা, ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কিং, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে বিসিএস সদস্যরা বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন।

প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তাইওয়ান এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (টাইট্রা) ও তাইওয়ান ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (টিইইএমএ)। টাইট্রনিকস হলো একটি আন্তর্জাতিক ইলেকট্রনিকস প্রদর্শনী আর এআইওটি তাইওয়ান হচ্ছে তাইওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রদর্শনী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ইওয় ন ব স এস

এছাড়াও পড়ুন:

সরকার যেদিকে যাবে, পরিস্থিতি সেদিকে ঘুরবে

আট মাস ধরে ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছে। সর্বশেষ জুলাই সনদ সাক্ষর হয়েছে। এর মাধ্যমে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দায়িত্ব চলে গেছে সরকারের কোর্টে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে পারবে কি না, হ্যাঁ বা না—যেটাই হোক, সেটা জানিয়ে দেওয়া দরকার। গণভোটের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি আগে নাকি পরে হবে, সেটিও জানিয়ে দেওয়া দরকার সরকারের। তা না করে সরকার যে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে বলল, এটা বিবেচনাপ্রসূত বলে মনে হয়নি।

আরও পড়ুনসরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠবে৩৮ মিনিট আগে

সবাই সংস্কার চায়, তবে এর পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এটি বড় বিভাজন নয়। বরং সংস্কার না করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংস্কার নিয়ে যে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, সেটিতে ধাক্কা খাবে।

এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বড় দলগুলোর জোরালো অবস্থান দরকার। সংস্কার বাস্তবায়ন বিষয়ে সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকার চাইলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে আলোচনা করতে পারে। দেশের স্বার্থে প্রয়োজনে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে।

আরও পড়ুনন্যূনতম ঐক্য না হলে নির্বাচন শঙ্কায় পড়বে৩ ঘণ্টা আগে

দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক জায়গায় আনা ছিল সরকারের সফলতা। কিন্তু জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার। জটিলতা তৈরি হয়েছে, এটা অপ্রত্যাশিত। সরকার আসলে যেদিকে যাবে, পরিস্থিতি সেদিকে ঘুরবে। সরকার নির্বাচনের তফসিলের দিকে গেলে সবাই সেদিকে যাবে। এ নিয়ে বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে বলে মনে হয় না। কারণ, নির্বাচন পেছালে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটি দলগুলোও জানে।

নুরুল হক: সভাপতি, গণ অধিকার পরিষদ

আরও পড়ুনচালকের আসনে সরকার, সিদ্ধান্তও তাদের দিতে হবে৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ