সোনারগাঁয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হলো ৩টি চুনা কারখানা
Published: 21st, October 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী তিনটি চুনা কারখানা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ইকোনমিক জোন এলাকার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার (প্রকৌশলী) সুরঞ্জিত।
অভিযান চলাকালে ইকোনমিক জোনের গেটের পূর্ব পাশে একটি, পশ্চিম পাশে একটি ও বিপরীত পাশে আরও একটি মোট তিনটি চুনা কারখানা এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় কারখানাগুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানেই অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রাতে উত্তাল বুয়েট: দাবির মুখে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ক্যাম্পাস। বিক্ষোভকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই অভিযুক্ত সেই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরে রাতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বহিষ্কার আদেশ জারি করেছে। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা শোনার পর ‘না না’ বলে ওঠেন। তাঁরা ওই শিক্ষার্থীর স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তখন অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ বলেন, ‘স্থায়ীভাবে ছাত্রত্ব বাতিল করার ক্ষমতা আমার নেই, আমি উপাচার্যের নির্দেশক্রমে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাঁর নামে মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যদিও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা করার কথা, তবে আমরা ছাত্রদের কথা বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
উল্লেখ্য, বুয়েট ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।