সোনারগাঁ উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহারকারী তিনটি চুনা কারখানা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ইকোনমিক জোন এলাকার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুদা ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ম্যানেজার (প্রকৌশলী) সুরঞ্জিত।

অভিযান চলাকালে ইকোনমিক জোনের গেটের পূর্ব পাশে একটি, পশ্চিম পাশে একটি ও বিপরীত পাশে আরও একটি মোট তিনটি চুনা কারখানা এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় কারখানাগুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানেই অবৈধ সংযোগ পাওয়া যাবে, সেখানেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ছেলেমেয়েকে ২০ কোটি টাকার শেয়ার উপহার দিলেন বাবা

নিজের দুই সন্তানকে ২০ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ার উপহার দিলেন বাবা। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ক্রাউন সিমেন্টের উদ্যোক্তা–পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল তাঁর দুই সন্তানকে কোম্পানিটির ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ শেয়ার উপহার দিয়েছেন। এরই মধ্যে এই শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে আজ সোমবার উপহারের এই শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়টি জানিয়েছে ক্রাউন সিমেন্ট উদ্যোক্তা–পরিচালক আলমাস শিমুল। বর্তমানে তিনি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদেও রয়েছেন। জানা যায়, দ্বিতীয় প্রজন্মকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথম প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের হাতের শেয়ারের একটি অংশ সন্তানদের মধ্যে হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আলমাস শিমুল তাঁর ছেলে সায়হাম সাদিক পিয়াল ও মেয়ে শোভা সোহাকে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ শেয়ার উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেছেন। ঢাকার বাজারে আজ সোমবার ক্রাউন সিমেন্টের প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৫১ টাকা। সেই হিসাবে ৪০ লাখ শেয়ারের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

শেয়ার উপহার দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আলমাস শিমুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ব্যবসায় সক্রিয় থাকতে থাকতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ব্যবসার উত্তরাধিকার হিসেবে যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে চাই। এ কারণে তাদের মধ্যে শেয়ারের ন্যূনতম মালিকানা হস্তান্তরের পাশাপাশি ব্যবসায়ও যুক্ত করা হচ্ছে, যাতে তারা দেশ ও কোম্পানির জন্য এখন থেকেই যোগ্য হয়ে উঠতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের ব্যবসার পরিধিও এখন অনেক বড় হয়েছে। তাই আমরা তাদের ওপর কিছু দায়িত্ব দিয়ে নতুন নতুন ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে বেশি মনোযোগী হতে চাই।’

বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উত্তরাধিকার নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি সহজে হয়ে থাকে শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে। বাংলাদেশেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভালো কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ক্রাউন সিমেন্টের অন্য পরিচালকেরাও শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে তাঁদের একাধিক সন্তানকে ব্যবসায় যুক্ত করেছেন।

জানা যায়, আলমাস শিমুলের ছেলে সায়হাম সাদিক কানাডা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে এরই মধ্যে বাবার সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। আর মেয়ে শোভা সোহা মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করছেন।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বিধান অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হয়। তাই ক্রাউন সিমেন্টের দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধিদের পর্ষদে আসতে হলে ওই কোম্পানির ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার তাঁদের হাতে থাকতে হবে। আর ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের এই শর্ত পূরণ করতে হলে বর্তমানে কোম্পানিটির ২৯ লাখ শেয়ারের দরকার হবে।

ক্রাউন সিমেন্ট ২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটি শেয়ারবাজারে ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারের অর্থাৎ মালিকানার ৫২ শতাংশের বেশি রয়েছে উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে। আর ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ শেয়ার। বাকি প্রায় ১৯ শতাংশ শেয়ারের মালিকানায় রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ