কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকার একটি বাসা থেকে জায়নাল (২৫) নামে এক সবজি ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ জুন) সকাল ৯টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

মারা যাওয়া জায়নাল কক্সবাজার শহরের কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বাজারঘাট এলাকার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে জায়নাল কর্মচারীদের বাজারে পাঠান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয়রা ঘরের ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

আরো পড়ুন:

সিলেট সীমান্তের ওপারে ঝুলে থাকা বাংলাদেশির লাশ ২৫ ঘণ্টা পর হস্তান্তর

ঝরনা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হলেও আমরা বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখছি। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ উদ ধ র ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল: নারায়ণগঞ্জে সাবেক দুই কাউন্সিলরের মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার হাজারীবাগ এলাকায় অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে সাবেক দুই কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আব্দুল কুদ্দুস (৭০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আবু হোসেন জানান, বন্দর রেললাইন অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশা গ্রুপের সঙ্গে আরেক সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের লোকজনের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৮ জন আহত হন। শনিবার রাতে হান্নান সরকারের গ্রুপের বাবু-মেহেদীর নেতৃত্বে আশা গ্রুপের জাফর-রনির ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর একপর্যায়ে হান্নান গ্রুপের লোকজন আশা গ্রুপের আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঘটনার জেরে আশা গ্রুপ সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেন, এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে জড়িয়ে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। 

সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাওসার আশা বলেন, ‘বাবু, মেহেদী, রনি ও জাফর সবাই এক সময় একসঙ্গে চলাফেরা করত। কিন্তু সম্প্রতি অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।’

তদন্ত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ