সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 21st, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০ লিটার দেশীয় মদ ও ১ কেজি গাঁজা ও ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আদর্শ নগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো: বিল্লাল হোসেন (৩৫), সিদ্ধিরগঞ্জ থানার চৌধুরীপাড়া মিজমিজি এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে জুয়েল (৩৫), সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সানারপাড় লন্ডন মার্কেট ভূঁইয়া বাড়ীর বাদশা ভুইয়ার ছেলে রনি ভুইয়া (৩৬)।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহীনুর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে(২১ মে) শনিবার দুপুরে এসআই মো.
শনিবার ভোর ৪টার দিকে এসআই মাসুম বিল্লাহ, এসআই গৌরাঙ্গ মন্ডল ও আমিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ মিজমিজি চৌধুরীপাড়া বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০ লিটার মদসহ জুয়েল (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার সকাল ৭ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এএসআই মোঃ বজলুর রহমান,গৌরাঙ্গ মন্ডল ও আমিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান পরিচালনা করে সানারপাড় লন্ডন মার্কেট ভূঁইয়া বাড়ী থেকে এক কেজী গাজাসহ রনি ভুইয়া (৩৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের শেষে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন র ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে শেখ জুয়েল (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাকে আটক করে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পরিবারের অভিযোগ ।
নিহত জুয়েল বাঙ্গরা গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয়ভাবে ওয়াই-ফাই ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তিনি শেখ বাড়ির মৃত শেখ গোলাম সারোয়ারের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, ‘‘সকাল থেকে আমার স্বামী বিল কালেকশন করতে বের হয়েছিলেন। দুপুরের পর শুনি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। থানায় গিয়ে দেখা করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে অনেক অনুরোধে দেখা করতে দিলে জুয়েল বলেন, ‘আমি কিছু করিনি। আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করো।’ সন্ধ্যার পর জানানো হয়, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গিয়ে দেখি, তিনি আর বেঁচে নেই।’’
জুয়েলের ছেলে শেখ সিহাব বলেন, ‘‘আমার বাবাকে বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে পুলিশ মেরে ফেলেছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়েও কিছু জানায়নি।’’
নিহতের চাচাতো ভাই ও উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা শেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই আল আমিন তাকে আটক করেন। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ফোন দিলে এসআই বলেন, হাসপাতালে যেতে। সেখানে গিয়ে দেখি, জুয়েল মারা গেছেন।’’
মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘‘রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরীক্ষা করে তাকে মৃত পাওয়া যায়।’’
এ বিষয়ে জানতে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের কোনো কর্মকর্তা কিংবা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/রুবেল/টিপু