চট্টগ্রামে ছিনতাইকালে একজনকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন রিপন নামে এক মাইক্রোবাসের চালক। শনিবার ভোরে আসকারদীঘির পশ্চিম পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই চালকের গলায় ছুরি ধরা হলেও তিনি তা ধরে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। আঘাতপ্রাপ্ত হয়েও একজনকে ধরে ফেলেন। অন্য দুই ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, জিইসি এলাকায় মাইক্রোবাস রেখে অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন রিপন। ভোররাত ৪টায় রিমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আরেকটি অটোরিকশায় করে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাঁর গতিরোধ করে। তারা ছুরি দিয়ে রিপনের হাত ও কানে আঘাত করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। গলায় ছুরিকাঘাতের সময় তিনি সেটি ধরে ফেলেন।

রিপনের ভাষ্য, ‘গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ওরা ভয় দেখাচ্ছিল। তখন ভেবেছিলাম, চুপ থাকলে হয়তো আমাকে খুন করে ফেলবে। তখনই আমি ছুরিটা ধরে ফেলি। এ সময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুইজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। মাটিতে ফেলে রাখা একজনকে ধরে রাখি।’

ওই সড়কে টহলরত পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে জানতে পারে। এ সময় ওই ছিনতাইকারীকে একটি অটোরিকশাসহ আটক করা হয়।

কোতোয়ালি থানার এসআই মো.

আশরাফুল জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চালক রিপনের সাহসিকতায় ছিনতাইকারী ধরা পড়ে। 

এদিকে লোহাগাড়ায় বিশেষ অভিযানে ডাকাতি মামলায় অভিযুক্ত এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলো বাঁশখালীর গুলুল্যাখালী মাইজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মনজুর আলম (৫২) ও তার স্ত্রী হাছিনা বেগম (৪০)। মনজুর এখন বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর হিমছড়িপাড়ায় বাস করে।

শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর ইউনিয়নের খাসমহল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। দু’জনের কাছে দুটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলি, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন পাওয়া যায় বলে জানান লোহাগাড়া থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, অস্ত্র আইনে মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ফুটসাল টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আটক ১

সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্ট’–এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজের ১১ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠে হামলা চালান। তাঁদের দাবি, স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী মামুনের নেতৃত্বেই পরিকল্পিত এ হামলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বীকার করেছেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশেই তিনি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে, যা শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। বালুচরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঠে খেলা চলাকালে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। আহতদের মধ্যে ১১ শিক্ষার্থী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। খেলার মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এমপি সাইফুলসহ ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন
  • সিলেটে ফুটসাল টুর্নামেন্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আটক ১