দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মজনু মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের পাটশাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মজনু মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে। গত সাত বছর ঘোড়াঘাটের পাটশাও গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় স্ত্রী নাহিদা বেগমের নামে সরকারি প্রকল্পের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির একটি ছেলে আছে। মজনু পেশায় পরিবহনশ্রমিক ছিলেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায়ই মজনু মিয়া মাদকাসক্ত থাকতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝেমাঝেই ঝগড়া হতো। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মজনু মিয়া। আজ ভোরে শাশুড়ি গরু গোয়ালঘর থেকে বের করে বাড়ির আঙিনায় বাঁধতে গিয়ে আমগাছে তাঁর জামাইয়ের মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান। এ সময় শাশুড়ির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

এমবিই খেতাবে ভূষিত এমজেএফ নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম

যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

আজ বুধবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের হাতে এমবিই খেতাবের স্মারক তুলে দেন।

বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজা তৃতীয় চার্লস শাহীন আনামকে অনারারি এমবিই খেতাবের জন্য মনোনীত করেছিলেন।

বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাজ্য দুই দশকের বেশি সময় ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার ৪৬০টির বেশি তৃণমূল সংগঠনকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে সবার জন্য মর্যাদা, অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তনশীল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সারাহ কুক বলেন, ‘আমি রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে শাহীন আনামকে এই পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আনন্দিত। মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি তাঁর অক্লান্ত নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে—যা আমাদের দুই দেশের মধ্যকার মূল্যবোধ ও টেকসই অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ