শ্বশুরবাড়ির আঙিনায় আমগাছে ঝুলছিল জামাইয়ের মরদেহ
Published: 22nd, June 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মজনু মিয়া (২৮) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের পাটশাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মজনু মিয়া গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কাশিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত আবদুস সালামের ছেলে। গত সাত বছর ঘোড়াঘাটের পাটশাও গ্রামে শ্বশুরবাড়ি এলাকায় স্ত্রী নাহিদা বেগমের নামে সরকারি প্রকল্পের বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। এই দম্পতির একটি ছেলে আছে। মজনু পেশায় পরিবহনশ্রমিক ছিলেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায়ই মজনু মিয়া মাদকাসক্ত থাকতেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝেমাঝেই ঝগড়া হতো। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মজনু মিয়া। আজ ভোরে শাশুড়ি গরু গোয়ালঘর থেকে বের করে বাড়ির আঙিনায় বাঁধতে গিয়ে আমগাছে তাঁর জামাইয়ের মরদেহ ঝুলতে দেখতে পান। এ সময় শাশুড়ির চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ স্বামী-স্ত্রী ও ছেলে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে খেজুরবাগ এলাকায় ভবনের নিচে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার গভীর রাতে পাকিজা নামে পাঁচতলা ভবনে এই ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
আহতরা হলেন– শিশু আল-সামির, তার বাবা ফারুক হোসেন ও মা শিউলি আক্তার। এই পরিবারটি পাঁচতলা ভবনের নিচের একটি কক্ষে বসবাস করে।
আহত ফারুক হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়। দেখি আমার স্ত্রী শিউলীর হাত ও ছেলের শরীর আগুনে পুড়ে গেছে। আমার নিজের মুখের একপাশও দগ্ধ হয়। আমরা দ্রুতই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরি।’ দীর্ঘদিন ধরে তাদের কক্ষের মেঝে অস্বাভাবিক গরম হচ্ছিল। বিষয়টি বাড়িমালিককে জানালে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানান ফারুক হোসেন।
ভবনের মালিক সহিদ হোসেন জানান, ঘটনার সময় পাশের কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখেন দেয়াল ধসে গেছে। ভবনটি ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদন নিয়ে নির্মাণ করেছেন এবং ভবনে ১০টি পরিবার বসবাস করছে।
কথা হয় পোস্তগোলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দারের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। নিচতলার দেয়াল সম্পূর্ণ ধসে পড়ে গেছে। ভবনটি ময়লা-আবর্জনায় ভরাট ডোবার ওপর নির্মিত হওয়ায় বায়োগ্যাসের চাপ কিংবা পাশে থাকা গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণটি ঘটে থাকতে পারে। ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ভবন মালিককে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অধিকতর তদন্তও চলছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই স্থানীয়ভাবে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। ভবনের দেয়াল আংশিক ধসে গেছে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।