ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় শনিবার দিবাগত রাতে হামলা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। খবর বিবিসির

আজ রোববার ভোরে দেওয়া এক ভিডিও বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘অভিনন্দন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের মারাত্মক ও ন্যায়সংগত শক্তি দিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার আপনার সাহসী সিদ্ধান্ত ইতিহাস বদলে দেবে।’ 

নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং আমি প্রায়শই বলি: শক্তির মাধ্যমে শান্তি। প্রথমে শক্তি অর্জন, এরপর শান্তি আসে। এবং আজ রাতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং যুক্তরাষ্ট্র অনেক শক্তি দিয়ে কাজ করেছে।’

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছি; যা সম্ভবত এর আগে আর কোনো টিম এমনভাবে কাজ করেনি। আমরা ইসরায়েলের প্রতি এই ভয়ানক হুমকি দূর করতে অনেক দূর এগিয়েছি।’

ট্রাম্প ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে শনিবার দিবাগত ‘রাতে ‘অসাধারণ মেশিনগুলো’ পরিচালনা করা ‘মহান আমেরিকান দেশপ্রেমিকদের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত সামরিক বাহিনীকে’ এমন একটি অভিযানের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি এমন অভিযান বিশ্ব বহু দশকে দেখেনি।

এই পরস্পর অভিনন্দন বার্তা উভয় দেশের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে গভীর সমন্বয় এবং ঐকমত্যের ইঙ্গিত দেয়। এই হামলার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কী পরিবর্তন আনবে, তা এখন দেখার বিষয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল য ক তর ষ ট র ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সের ব্যাটিং ঝলক আর বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

ডাবলিনের মালাহাইড ভিলেজে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ নিজেদের করে নিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের নায়ক জর্ডান কক্স করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। সঙ্গে লিয়াম ডসন, জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদের বোলিং জাদুতেই ধরা খেল স্বাগতিকরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের মূল ভরসা ছিলেন গ্যারেথ ডেলানি। শেষদিকে তার ঝড়ো ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় দল। ইনিংসে ছিল ৪টি চার আর ৩টি বিশাল ছক্কা। ওপেনার রস অ্যাডায়ার ২৩ বলে ৩৩ এবং তিন নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন। তবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে দ্রুত ফেরান ডসন। পরে টেক্টরকেও আউট করে ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেটের বোলিং ফিগার দাঁড় করান তিনি।

আরো পড়ুন:

ভারতকে ১৭২ রানের টার্গেট ছুড়ল পাকিস্তান

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ভারত

জেমি ওভারটন তার চার ওভারে লরকান টাকার ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন। সবচেয়ে কার্যকরী ছিলেন লেগস্পিনার আদিল রশিদ। ইনিংসের শেষভাগে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯ রানে ৩ উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই সিনিয়র ব্যাটার জস বাটলারকে শূন্য রানে ফেরান ব্যারি ম্যাককার্থি। অধিনায়ক জেকব বেথেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, করেন মাত্র ১৫ রান।

তবে একপ্রান্ত আগলে ব্যাট চালান ফিল সল্ট। ২৩ বলে ২৯ রানের ইনিংসে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়ে গড়েন কক্সের সঙ্গে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। সেখানেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। কক্স খেলেন ৩৭ বলে ৫৫ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস। যেখানে ছিল নিয়ন্ত্রিত শটের ছড়াছড়ি। শেষ পর্যন্ত বেন হোয়াইট তাকে বোল্ড করলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত।

বাকি কাজটা সেরে দেন টম ব্যান্টন ও রেহান আহমেদ। ব্যান্টনের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৭ রানে ভর করে ১৭.১ ওভারেই ৪ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।

এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল ইংল্যান্ড। 

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ