গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার টুকুবাজার ও শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি গ্রামের মৃত মঈনউদ্দিন খাঁ’র ছেলে সরোয়ার খাঁ (৯০), মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের মৃত মানিক কুমার পালের ছেলে বিপুল কুমার পাল (৫২) ও খুলনার দৌলতপুর থানার পাবলা গ্রামের রাজা শেখের ছেলে সোহাগ পরিবহনের হেলপার শাওন শেখ (১৮)।
টুকু বাজারে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ বিচারের আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার এসআই মো.
তিনি আরও জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি নসিমনকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে নসিমনের যাত্রী বিপুল কুমার পাল (৫২) ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ রেকার দিয়ে কাভার্ড ভ্যান সরিয়ে নিচ্ছিল। এ সময় সেখানে একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে ছিল। সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস দাঁড়িয়ে থাকা ওই পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা দেয়। বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসের হেলপার শাওন শেখ ঘটনাস্থলে নিহত হন।
হাইওয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহত তিনজনের মরদেহ আজ দুপুরে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ সড়ক দ র ঘটন ন হত গ প লগঞ জ দ র ঘটন উপজ ল র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে ঢামেক হল পরিদর্শনের দাবি
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হল পরিদর্শনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ হলে এসে অবকাঠামো দেখার কথা বলেছেন তারা। অন্যথায় আরও কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলনের প্রতিনিধি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান এসব কথা জানান।
গত ২৮ মে থেকে আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢামেক শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গত ৬ জুন থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেন। এর মধ্যে শনিবার কলেজ প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পাঁচ দফা দাবির অগ্রগতি জানতে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা জানতে চান, হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপারে। উত্তরে কর্তৃপক্ষ হল ছাড়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে। তবে শিক্ষার্থীরা নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, চলমান আন্দোলনের সময় তারা হলে অবস্থান করবেন।
তিনি বলেন, পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন নিয়ে বৈঠকে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়নি। ফলে তাদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হল সংস্কার এবং নতুন হল তৈরির দাবি জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না।
নোমান আরও বলেন, দাবি উপেক্ষিত হলে আরও কঠোর কর্মসূচির দিকে যেতে বাধ্য হব। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে শুরু হওয়া এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো– নতুন ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দ্রুত বাজেট পাস; আবাসন ব্যবস্থা নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; নতুন একাডেমিক ভবনের জন্য আলাদা বাজেট পাস করা; আবাসন ও একাডেমিক ভবনের বাজেট পৃথকভাবে অনুমোদন ও দ্রুত দৃশ্যমান বাস্তবায়ন; সব প্রকল্প ও কার্যক্রমে স্বচ্ছতার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নিয়োগ করা।