‘শান্তির দূত’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে ফেলায় তাঁর সে প্রতিশ্রুতিকে এখন কথার কথা হিসেবে ধরা হচ্ছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, ট্রাম্প এখন এমন একটি অঞ্চলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যেটা আরও বড় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এটি এমন একটি যুদ্ধ, যেখানে আমেরিকা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে।

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় আমেরিকা হামলা চালিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করার মাত্র দুই ঘণ্টা পরে হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেন, এই অভিযানটি ছিল একটি ‘অসাধারণ সাফল্য’।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও এবং ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথকে পাশে নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেন, যদি তারা তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাদ না দেয়, তাহলে ভবিষ্যতে তারা এমন হামলার মুখোমুখি হবে যা ‘অনেক ভয়াবহ’। ট্রাম্পের এ ধরনের বাহাদুরি সত্ত্বেও ওই অঞ্চল এবং বিশ্বের জন্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি বয়ে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে ইরান।
এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, ইরানকে ‘নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করতে হবে’, সেটা প্রেসিডেন্টকে এমন একটা অবস্থায় ফেলে দেয়, যেখান থেকে তাঁর ফিরে আসা ছিল কঠিন। ইরানও যে হুমকি দিচ্ছিল, সেটাও তাঁকে একই অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল। এভাবেই যুদ্ধ শুরু হয় এবং এভাবেই যারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, যুদ্ধটা তাদের কল্পনা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা কি কেবল একটা ভান ছিল– এমনই প্রশ্ন সবার মনে আসছে। হামলার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে এর ফলাফল খুব কমই জানা যায়। কিন্তু ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এবং টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে শান্তির দ্বার উন্মুক্ত করার চেষ্টা করেছেন।

তবে এটি হয়তো অতিরিক্ত আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। কারণ, ইসরায়েল ইরানের সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করতে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালালেও, আয়াতুল্লার হাতে এখনও অনেক অস্ত্র রয়েছে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়েও উঠতে পারে।

ইরানের ওপর মার্কিন হামলার আশঙ্কা ইতোমধ্যেই কেবল ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে নয়, ট্রাম্পের নিজস্ব ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ আন্দোলনের ভেতর থেকেও তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যদি এই আক্রমণটি শুধু একবারের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে ট্রাম্প হয়তো তাঁর সমর্থক গোষ্ঠীর মধ্যে খুব সহজেই বিভক্তি দূর করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু যদি এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও বৃহত্তর সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট তাঁর দলের ভেতর থেকেই প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারেন।

শনিবারের আক্রমণটি প্রেসিডেন্টের জন্য এমন একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ। কারণ, তিনি তাঁর প্রথম মেয়াদে কোনো নতুন যুদ্ধ শুরু না করার জন্য গর্ব করেছিলেন। গত বছর নির্বাচনী প্রচারে বিদেশি সংঘাতে দেশকে জড়ানো পূর্বসূরিদের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সমালোচনা করেছিলেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র এমন একট আম র ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ড ছেড়ে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে মার্কেন্টাইল ব্যাংক

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি আরও একটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করবে। প্রস্তাবিত বন্ডটি ইস্যুর মাধ্যমে মার্কেন্টাইল বাজার থেকে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। টিয়ার টু মূলধনভিত্তি শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করবে ব্যাংকটি।

বন্ডটির নাম- মার্কেন্টাইল ব্যাংক ৩য় সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। এর আগে মার্কেন্টাইল ব্যাংক আরও দুটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করেছে।

সোমবার (২৩ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, আলোচিত বন্ডটি হবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৩য় সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। মেয়াদ শেষে এর পূর্ণ অবসায়ন ঘটবে। বন্ডটি শেয়ারে রূপান্তর-অযোগ্য। অর্থাৎ এর কোনো অংশ শেয়ারে রূপান্তর হবে না। এই বন্ডের বিপরীতে কোনো জামানত থাকবে না। এর সুদের হার হবে ভাসমান। বন্ডটি হবে কুপনযুক্ত।

বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে বন্ড ইস্যু করার এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ