ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতে প্রবেশ করছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। নতুন এক গবেষণায় কাচের বোতলে প্লাস্টিকের বোতলের তুলনায় বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্সের খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা এএনএসইএস।

গবেষকদের ধারণা ছিল, কাচের বোতল প্লাস্টিকের বোতলের তুলনায় বেশি নিরাপদ। তবে গবেষণায় কোমল পানীয়, লেবুপানি, আইস টির কাচের প্রতি লিটার বোতলে প্রায় ১০০টি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে, যা প্লাস্টিক বা ধাতব পাত্রের তুলনায় ৫০ গুণ বেশি। জার্নাল অব ফুড কম্পোজিশন অ্যান্ড অ্যানালাইসিসে এ গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুনইনজেকশনে যাচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক১৯ মার্চ ২০২৫

নতুন এ গবেষণার বিষয়ে বিজ্ঞানী ইসেলিন চাইব বলেন, লেমোনেড বোতল থেকে শুরু করে পানির কাচের বোতলেও মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার সন্ধান মিলেছে। প্যাকেজিং ধরনের ওপর নির্ভর করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কম মাত্রা দেখা যায়। প্রতি লিটার কাচের বোতলে প্রায় ৪ দশমিক ৫টি মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁজ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, প্লাস্টিকের বোতলে ১ দশমিক ৬টি কণা পাওয়া গেঝে। বোতলের ক্যাপ দূষণের প্রধান উৎস বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনমাইক্রোপ্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করলে যেসব সমস্যা হতে পারে০৪ এপ্রিল ২০২৫

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, পাঁচ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট প্লাস্টিকের টুকরাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের বাড়তি উৎপাদনের কারণে সারা বিশ্বেই প্লাস্টিকের উপস্থিতি বেড়েছে। মারিয়ানা ট্রেঞ্চ থেকে শুরু করে মাউন্ট এভারেস্টেও মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত করছে পুলিশ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই কারণ সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর একটি হচ্ছে গাজীপুরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করা এবং আরেকটি হচ্ছে পূর্বশত্রুতার বিষয়। পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছে তারা। তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তাঁর স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। পুলিশ জানিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এই চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা ছিনতাইকারী দলের সদস্য। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের তিনটি দল ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে। গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান ও তাঁর স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের অপর একটি দল গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়।নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ